বাংলার রূপ
নিউজ ডেস্কঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে,আগামীকাল ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে পদত্যাগ করতে বলেছেন আওয়ামীলীগ এর সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।সোমবার রাত ৮ টায় মুরাদ হাসান কে প্রধানমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেয়া হয়েছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবনে থেকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, সন্ধ্যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা হয়েছে। আমি আজ রাত ৮টায় প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে বার্তাটি পৌঁছে দিয়েছি।
তথ্য প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান ‘নারী বিদ্বেষমূলক’ যে বক্তব্য দিয়েছেন, এতে দল বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে কিনা— সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সোমবার সকালে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের দেওয়া বক্তব্য তার ব্যক্তিগত মন্তব্য। এটি দল বা সরকারের নয়। এ ধরনের বক্তব্য তিনি কেন দিলেন, বিষয়টি নিয়ে অবশ্যই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’
বেশ কিছুদিন আগে থেকেই তার বিভিন্ন অসাধাচরন বক্তব্যের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তোপের মুখে পরেন এই প্রতিমন্ত্রী।ফের রোববার ৫ ডিসেম্বর রাতে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে তোপের মুখে পড়েছেন তিনি।
নারীর প্রতি ‘অবমাননাকর’ ও ‘বর্ণবাদী’ মন্তব্য করে আগে থেকেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে আছেন এই প্রতিমন্ত্রী।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নাতনীকে নিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের ‘নারীবিদ্বেষী’ বক্তব্য নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা সৃষ্টি হয়। এরই মধ্যে ফাঁস হয় একটি ফোনালাপ।
জানা যায়, এই কথোপকথনটি ডা. মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির। ফোনালাপে থাকা চিত্রনায়ক ইমন ইতোমধ্যে সেটি স্বীকারও করেছেন। ফাঁস হওয়া ওই কথোপকথনে তথ্য প্রতিমন্ত্রী মাহিকে ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় তুলে আনার হুমকি দেন।
এছাড়াও বনানীতে একটি বিয়ে বাড়ির অনুষ্ঠানে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের একটি ভিডিও চিত্র ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছরিয়ে পরছে।