এজেড হীরা
শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে উপজেলা আনসার ভিডিপির সাবেক এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুই কোটি টাকা মূল্যের জায়গা দখল করা সহ প্রায় ৮৭ লাখ টাকার মালামাল লুটে নেয়ার অভিযোগ এনে এক ভুক্তভোগী এমন লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেছেন।
গত ০৯ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কোন প্রতিকার না পেয়ে আবারো ২য় দফায় শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে সংবাদ সম্মেলনে ব্যবসায়ী সাইদুজ্জামান সরকার জিকু তার লিখত অভিযোগ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন ।
লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী জিকু বলেন, শেরপুর পৌর শহরের শেরপুর মৌজায় ২১২৯ দাগে ৬৯ দশমিক ৭৫ শতক জমি রয়েছে। এর মধ্যে সাড়ে পাঁচ শতক জমি ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হন তিনি । সেখানে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষি যন্ত্রপাতির কারখানা গড়ে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। বর্তমানে তার মালিকানাধীন জায়গার মূল্য অনুমানিক দুই কোটি টাকা। আর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ৮৭ লাখ টাকার মালামাল রয়েছিল।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাইদুজ্জামান জিকু অভিযোগ করে বলেন, সম্প্রতি তার মূল্যবান জায়গা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রতি স্থানীয় প্রভাবশালী উপজেলা আনসার ভিডিপির সাবেক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদের লোলুপ দৃষ্টি পড়ে। তাই তিনি উক্ত জায়গাসহ মালামাল অবৈধভাবে দখলে নেওয়ার জন্য নানামুখি পাঁয়তারা করতে থাকেন। গত ৩০ অক্টোবর বেলা নয়টার দিকে ওই প্রভাবশালীর নেতৃত্বে ১৫/২০ জনের সঙ্ঘবদ্ধ সশস্ত্র ব্যক্তিরা তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে ফেলে। সেই সঙ্গে কারখানার তালা ভেঙে ফেলে জায়গা দখলে নিয়ে মালামালগুলো লুটকরে নেয়। পরবর্তীতে ঘটনাটি জানার পর জায়গাটি উদ্ধার ও মালামাল ফেরত পেতে বিভিন্ন জায়গায় পাশাপাশি থানা পুলিশের কাছে ধর্ণা দেই। কিন্তু লুটপাটের ঘটনার ১০ দিনেও প্রশাসনের কাছে থেকে কোনো সু-বিচার পাচ্ছি না লিখিত বক্তব্যে বলেন ওই ভুক্তভোগী । তাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জায়গা উদ্ধারপূর্বক মালামাল ফেরত পেতে প্রশাসনের সংশ্লিদের কাছে জোর দাবি করেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
ঘটনাটি সম্পর্কে জানতে চাইলে অভিযুক্ত উপজেলা আনসার ভিডিপির সাবেক কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আসাদ নিজেকে নির্দোর্ষ দাবি করে গনমাধ্যমকে তিনি বলেন, আমি কোনো জায়গা দখল ও মালামাল লুটে নেয়নি নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। এসব নিছক মিথ্যা ও অপপ্রচার। এ ধরণের কোনো ঘটনার সঙ্গে তিনি ও তার কোনো লোক জড়িত নেই বলেও দাবি করেন আনসার ভিডিপির সাবেক এই কর্মকর্তা।
এ বিষয়ে শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ দেওয়া রয়েছে কিনা আমার জানা নাই বলে জানান গনমাধ্যমকে। তবে দেয়া থাকলে অবশ্যই তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।