এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের হরিণধরা সীমান্তে চোরাকারবারে কাজে বাঁধা দেওয়ায় ‘দৈনিক বাংলাদেশের খবর’ পত্রিকার একেএম হাসানুজ্জামান (আঙুর) নামের স্থানীয় এক সাংবাদিককে হত্যার হুমকিতে নিজের এলাকা ছাড়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসানুজ্জামান হরিণধরা গ্রামের শামছুজ্জামানের ছেলে।
এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে ওই সাংবাদিক বাদি হয়ে ৮জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে অভিযুক্ত করে রৌমারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়ে দিয়েছেন।
এছাড়াও জানাগেছে, হরিণধরা গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে হারুন অর-রশিদ ও লালকু মিয়ার ছেলে ফিরোজ আহমেদ ওই সাংবাদিকের প্রতিবাদে সমর্থন জানানোয় সাংবাদিকের সন্ধান চেয়ে গতকাল ২৩ জুন রাত ৮টার দিকে বাজার হতে বাড়ি যাওয়ার পথে দাঁতভাঙা কাঁচারি মাঠের সামনে পথ রোধ করে ব্যাপক মারধর করে চোরাকারবারিরা। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রৌমারী সদর হাসপাতালে ভর্তি করান।
ওই সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ অক্টোবর (রোববার) সকালে এক দল চোরাকারবারী ভারতীয় গরু তার বাড়ির সামনে জড়ো করেন এবং ভটভটিতে তুলতে থাকেন। এ সময় তার বাড়ির সামনে এসব করতে নিষেধ করেন এবং অনৈতিক কাজে বাঁধা দেন। এক পর্যায় চোরাকারবারিরা তার সাথে বাকবিতÐায় জড়ান। পরে তাকে হত্যা ও গুমের হুমকি দিয়ে চলে যান চোরাকারবারিরা। এর জের ধরে গত ২১ অক্টোবর তারিখ রাত ৮ টায় দিকে হরিনধরা ইদগাহ মাঠের সামনে গেলে উৎপেতে থাকা ওই এলাকার একদল চোরাকারবারি তার পথ আটকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। পরে ভারত থেকে আঁড়কি দিয়ে গরু পাচার কাজে বাঁধা দিলে প্রাণে মেরে ফেলা, গুমসহ মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে চলে যায় চোরাকারবারিরা। পরে শুক্রবার রাতে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই সাংবাদিক।
স্থানীয়রা জানায়, আমাদের হরিণধরা ও ধর্মপুর এলাকায় অধিকাংশ লোকজন সীমান্ত চোরাকারবারে জড়িত। এতে উঠতি বয়সের ছেলেরা রাতভর নেশা, জুয়া ও কাঁচা টাকার নেশায় নিজেকে বিলিয়ে দিচ্ছে। এই অপরাধ যাদের প্রতিহত করার কথা তারাই এখন ইন্ধনদাঁতা। প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে এর স্থায়ী সমাধান চেয়ে শান্তি চায় তারা।
রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।