আরিফুল হক তারেক
মুলাদী প্রতিনিধিঃ
মুলাদী উপজেলার ৭২জন মুক্তিযোদ্ধা সরকারি গেজেটভুক্ত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের ‘ক’ তালিকাভুক্ত হওয়ার পরে তাদের গেজেটভুক্ত না করায় তারা ক্ষোভও প্রকাশ করেন। গেজেটভুক্ত না হওয়ায় সশস্ত্র যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে মুক্তিযোদ্ধার সম্মান ও সুবিধা বঞ্চিত হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন তারা। মুক্তিযোদ্ধাদের ক তালিকাভুক্তির ৪ বছর অতিবাহিত হলেও স্বীকৃতি মেলেনি তাদের। ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তালিকাভুক্ত হতে উপজেলার বাদপড়া মুক্তিযোদ্ধারা আবেদন করে। যাচাই-বাছাই কমিটি মুক্তিযোদ্ধাদের সাক্ষাতকার, সহযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন ও অন্যান্য প্রমাণক যাচাই করে ৭২জনকে ‘ক’ তালিকাভুক্ত করে। মুলাদী উপজেলার মধ্য চরলক্ষীপুর গ্রামের মৃত আঃ করিম হাওলাদারের পুত্র মোবারক হোসেন হাওলাদার জানান, ২০১৭ সালে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাইয়ের সময় তিনি তালিকাভুক্ত হতে আবেদন করেন। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির সভাপতি অ্যাড. তালুকদার মো. ইউনুছ, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাওলাদারসহ কমিটির ৭জন সদস্য ছিলেন। ওই কমিটি তাকে মুক্তিযোদ্ধার গেজেটভুক্ত করতে ‘ক’ তালিকাভুক্ত করে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। কিন্তু ৪ বছর অতিবাহিত হলেও তিনি মুক্তিযোদ্ধার সম্মান পাননি। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটির মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয় (মুনিব) এর প্রতিনিধি হাজ্বী মো. মোহসীন উদ্দীন খান জানান, সহযোদ্ধাদের প্রত্যয়ন ও আবেদনকারীদের সাক্ষাতকার নিয়ে বাছাই কমিটির সর্বসম্মতিক্রমে তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছিলো। কী কারণে গেজেট প্রকাশ হচ্ছে না বিষয়টি জানা নাই। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মাদ হোসাইনী জানান, তৎকালীন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কমিটি তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিবেদন দিয়েছেন। গেজেট প্রকাশ করার বিষয়টি মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার।