আরিফুল হক তারেক
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধিঃ
মুলাদী বন্দরে মোবাইলের দোকান থেকে ৫ লক্ষাধিক টাকার মালামাল এবং ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা চুরির হওয়ার ঘটনার ২ দিনেও কোনো রহস্য উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। মঙ্গলবার দিবাগত রাতে বন্দরের পূর্ব বাজারের আইডিয়াল টেলিকমে চুরির ঘটনাটি সংঘটিত হয়। দোকান মালিক আবু হানিফ জানান মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দোকান বন্ধ করে তিনি বাসায় চলে যান। রাতের কোনো এক সময় চোর চক্র দোকানের উপরে চালার টিন কেটে ভিতরে প্রবেশ করে সিসি ক্যামেরার লাইন বিচ্ছিন্ন করে এবং নগদ ২ লক্ষ ৬৫ হাজার টাকা ও বিভিন্ন মডেলের প্রায় ৫ লক্ষাধিক টাকার মোবাইল ফোন চুরি করে নেয়। বুধবার সকালে তিনি দোকান খুলে মোবাইলের র্যাক ও ক্যাশ বাক্স ভাঙ্গা এবং মালপত্র ছড়ানো ছিটানো দেখতে পেয়ে মুলাদী থানায় সংবাদ দেন। এঘটনায় মুলাদী সার্কেল এএসপি মোঃ মতিউর রহমান, মুলাদী থানার অফিসার ইনচার্জ এস.এম মাকসুদুর রহমান, মুলাদী বন্দর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামরুজ্জামান রবিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এঘটনায় আবু হানিফ বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামী করে মুলাদী থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বন্দরের দোকানে দুর্ধর্ষ চুরির ২ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ কাউকে আটক কিংবা মালামাল উদ্ধার করতে না পারায় ব্যবসায়ীরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। মুলাদী বন্দরের বনশ্রী জুয়েলার্সের মালিক সুরেশ কর্মকার বলেন ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর বন্দরে দুর্ধর্ষ ডাকাতির বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এছাড়া বন্দরের মোল্লা টেলিকম, হিজলা-মুলাদী সংযোগ সেতুর পশ্চিম পাড়ে ৬টি দোকানে চুরি ঘটনায় কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় চোরচক্র একের পর এক অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। এব্যাপারে মুলাদী থানার ওসি এসএম মাকসুদুর রহমান জানান দোকানের একটি সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেজ দেখে চোরকে গ্রেফতার এবং মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।