মোঃ রায়হান আলী
আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ
আশুলিয়ার নরসিংহপুরে শারমিন কারখানার কিছু শ্রমিকের ছুটি হলে রাত ৭ টার দিকে আশুলিয়া ক্লাসিকের বাস চাপায় নিহত হন ম্যানেজার সহ ১ জন এতে আহত হন অন্তত ২ জন শ্রমিক। সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনার শাস্তির দাবিতে সড়কে নেমে পড়েন সেই কারখানার শ্রমিকেরা। মুহূর্তের মধ্যেই পুড়িয়ে দেয় আশুলিয়া ক্লাসিকের বাসটিকে। তবে ধরা ছোয়ার বাইরে সেই বাসটির হেলপার এবং চালক। আশুলিয়ার দিক থেকে আসা এই বাসটি শারমিন কারখানার সামনে এলে সেই সময় উক্ত কারখানার শ্রমিকেরা বের হচ্ছিলেন। সেই সময় আশুলিয়া ক্লাসিকের বাসটি না থেমে শ্রমিকের উপর দিয়ে চলে যান। এতে করে নিহত হন সেই কারখানার ম্যানেজার এবং আহত হন আরও দুজন শ্রমিক। সাথে সাথে গাড়ির চালক পালিয়ে গেলে সেই গাড়িটিকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয় গার্মেন্টস শ্রমিকেরা। পরে আহত দুজন কে চিকিৎসা সেবার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর পরপরই শ্রমিকেরা সেই বাসটিকে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেয়। অপর দিক থেকে আসা আশুলিয়া ক্লাসিকের অন্য একটি বাস পেলে সেটিকেও পুড়িয়ে দেয় তারা। এরপর সেখানে থাকা আরও দুটি বাস থাকায় ভাঙচুর করে অবরুদ্ধ শ্রমিকেরা। এতে সেই সড়কে চারটি বাস পুড়িয়ে এবং অন্তত তিনটি বাস ভাঙচুর করে বিক্ষোভ প্রকাশ করে শ্রমিকেরা। এর পরপরই সেই সড়কে যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারন যাত্রীদের, হেঁটে যেতে হয় নিজস্ব গন্তব্যে। বিক্ষুব্ধ শ্রমিকের অবস্থা দেখে ছুটে আসেন আশুলিয়া থানা পুলিশ। আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক হারুনুর রশিদ কিছুটা বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের থামিয়ে বলেন, আশুলিয়া ক্লাসিকের বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে যাওয়ায় আমরা তাকে ধরতে পারিনি। তিনি বলেন গত ছয় মাসে অন্তত ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে এই রাস্তায়। আমরা তাদেরকে ধরে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবে বলে জানিয়েছেন আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক। পরে সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে আশুলিয়া থানা থেকে আরও পুলিশ সদস্য মোতায়ন করা হয়।