মোহাম্মদ আবদুর রহমান
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর আরকান সড়কের পাশে অবৈধভাবে জমিতে স্থাপনা নির্মাণের জন্য বালু ভরাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রশাসনসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন
উপজেলার পশ্চিম গোমদন্ডী এলাকার মরহুম নুরুল হকের ছেলে আবদুল মান্নান, আবু তাহের ও আবদুল মোতালেব।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়,ভূমির আরএস খতিয়ান রেকডীর্য় মালিক আহামদ আলীর ছেলে কালা মিয়া, তৎপ্রমানে তাহার নামে সংশ্লিষ্ট আর এস খতিয়ান শুদ্ধরুপে চুড়ান্ত প্রচার আছে কালা মিয়া তাহার প্রাপ্ত ভূমিতে খাসে ভোগ দখলে স্থিত থাকাবস্থায় মৃত্যুবরন করিলের তৎ স্বত্ব ওয়ারিশ হিসাবে জাবির আহমদ প্রাপ্ত হন, তৎপর জাবির আহমদ বিগত ২৭ /৪/১৯৭৩ তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত ১৭৯৬ নং দলিল মূলে চরনদ্বীপ নিবাসী মরহুম ফজলুর রহমানের পুত্র নুর মিয়া এর নিকট বিক্রয় করিয়া চিরত্বরে ওয়ারিশানক্রমে নিঃস্বত্ববান ও দখলচ্যুত হন। নুর মিয়া তাহার প্রাপ্ত ভূমিতে ভোগ দখলে স্থিত থাকাবস্থায় বিগত ২৬/১১/২০০০ ইং তারিখে রেজিষ্ট্রীকৃত ২৭২২ নং দলিল মুলে আমরা আপত্তিকারিগণের নিকট তপশীলে বর্ণিত ভূমি বিক্রয় করিয়া স্বত্ব দখলে হস্তান্তর করেন। আমরা আপত্তিকারিগন আমাদের খরিদকৃত ভূমিতে সর্বজনের জ্ঞাতসারে শান্তিপূর্ণভাবে অদ্যাবধি পর্যন্ত ভোগ দখলে স্থির আছি। কিন্তু আমাদের খরিদকৃত বি,এস ১৪৬৯৫ নং দাগে ০.২৭০০ একর ভূমি ১ নং খতিয়ানভূক্ত হওয়ায় কিছু অসাধু ব্যক্তি লোভের বশবর্ত্তী হইয়া আমাদের ক্রয়কৃত এবং উক্ত দাগে আরো কতেক সরকারি সম্পত্তি আত্নসাৎ করার কু-মানুষে ১নং খতিয়ানভুক্ত ভূমিতে বালু দিয়ে ভরাট করিতেছে। আমরা বাধা দিতে গেলে অসাধু ব্যক্তিগণ বিভিন্ন রকম হুমকি ও অজুহাত দেখাচ্ছে এমতাবস্থায় প্রশাসনের নিকট ন্যায় বিচারের স্বার্থে বিষয়টি সুবিবেচনা পূর্বক খরিদকৃত সরকারি সম্পত্তি রক্ষার্থে যাতে অসাধু ব্যক্তিগণ তপশীলে বর্ণিত ভূমি বালু দ্বারা ভরাট করিতে না পারে, জরুরী ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানান।
অভিযোগকারি আবদুল মান্নান বলেন, জায়গাটি ক্রয়সূত্রে আমরা মালিক বিএস খতিয়ানের খাস হওয়ায় সংশোধনের জন্য আদালতে মামলা করা হয়েছে। মামলা চলাকালিন সময় ভরাট কাজ বন্ধ রাখার জন্য প্রশাসনের নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
বন্দোবস্ত হিসেবে প্রাপ্ত জমি মালিক ছায়েরা বেগমের ছেলে মোঃ মিল্লাতুর রহমান বলেন, ভুমিহীন হিসেবে প্রাপ্ত জায়গায় বালু ভরাট করতেছি এসি ল্যান্ড স্যারের এসে জায়গা ঠিক করে দিয়েছে, বালু ভরাটের বিষয় তিনি জানেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, জায়গাটি এখন বন্দোবস্ত হয়ে গেছে, বর্তমানে জমির মালিক ছায়েরা বেগম, আদালতের মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মামলা দুই পক্ষের বিষয় এখানে আমাদের করার কিছু নেই কারন এটা এখন খাস জমি নেই বন্দোবস্ত হয়েছে গেছে।