সমন্বয়ের অভাবে চট্টগ্রামের উন্নয়ন যেন বাঁধাগ্রস্ত না হয় সেদিকে সজাগ থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, সব প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ তরান্বিত করতে হবে।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত ও অপার সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে হলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, ওয়াসা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ এবং চট্টগ্রাম চেম্বার এন্ড কমার্সসহ সর্বস্তরের মানুষকে সম্পৃক্ত করার কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সমন্বয় করে উন্নয়ন কর্মকান্ড করে যেতে হবে।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রামের উন্নয়নে যে সকল প্রকল্প নেওয়া হয়েছে এবং নতুন যেসব প্রকল্প নেওয়া হবে সেগুলো অবশ্যই সমন্বয় করে নিতে হবে। সমন্বয়হীনতার কারণে যেন একই কাজ বিভিন্ন প্রকল্পের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত না হয় সেদিকে দৃষ্টি রাখতে হবে। জননেত্রি শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক বলেই এখানে অনেকগুলো প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে জনগুরুত্ব সম্পন্ন আরো প্রকল্প নেয়া যাবে। তবে স্বচ্ছতার সাথে সব প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে।
হালদা নদী থেকে পানি উত্তোলন করলে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ার প্রসঙ্গে মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, প্রস্তাবিত মোহরা ফেজ-২ প্রকল্পের জন্য যে সীমিত পরিমাণ পানি উত্তোলন করা হবে তাতে জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব পড়বে বলে চালানো সমীক্ষায় প্রতীয়মান হয়নি। তিনি বলেন, হালদা নদীতে মৎস্য প্রজনন এবং জীববৈচিত্র্যের পরিবেশ অক্ষুণ্ন রেখেই পানি উত্তোলন করা হবে। জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ুক এমন কাজ করা হবে না।
তিনি বলেন, শিল্প উন্নয়নের জন্য প্রযুক্তিগতভাবে শ্রমিকদের দক্ষতার উন্নয়ন করতে হবে। দক্ষতার উন্নয়ন ব্যতীত শিল্প উন্নয়ন সম্ভব নয়।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম নগরীতে যেসব রাস্তাঘাট নির্মাণ করা হচ্ছে সেগুলো অবশ্যই টেকসই হতে হবে।অপরিকল্পিতভাবে আর কোন কিছুই নগরীতে হতে দেওয়া যাবে না।