নিজস্ব প্রতিবেদক।
বহুল আলোচিত প্রিন্স অফ বাংলাদেশ,নামের সেই খ্যাতিসম্পন্ন ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা করেছেন,দুর্নীতি দমন কমিশন( দুদক)।”কার্নেট ডি প্যাসেজ” সুবিধায় আনা গাড়ি অবৈধভাবে নিবন্ধন করার অভিযোগে,বৃহস্পতিবার দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকের) সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় ১ এর পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী বাদী হয়ে মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য, বাংলার রূপ নিউজ ২৪ কে জানান এই মামলায় মোট ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামীরা হলেন বহুল আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের,সাবেক ভোলা বি,আর,টি জেলা সার্কেলের সহকারি পরিচালক আইয়ুব আনসারী ,মুসা বিন শমসেরের শ্যালক মোঃ ফারুকুজ্জামান,এবং গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান,অটো ডিফাইনও ফিয়াজ এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ ওয়াহিদুর রহমান,এবং “কার্নেট ডি প্যাসেজ” এর সুবিধায় গাড়ি আনেন ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফরীদ নাবীর।
মুসা বিন শমসেরের শ্যালক ফারুকুজ্জামান এর নামে ভোলা বি,আর,টি সার্কেলে এই গাড়িটি নিবন্ধিত হয়। এই গাড়িটি “কার্নেট ডি প্যাসেজ” এর সুবিধায় বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। তবে এই রেঞ্জ রোভার জিপটি ২০১৭ সালে মুসা বিন শমসেরের,ছেলের শ্বশুর বাড়ি থেকে জব্দ করে শুল্ক গোয়েন্দার একটি দল।তখন শুল্ক গোয়েন্দারা জানিয়েছিলেন,ভোলা বিআরটিএর কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে ভুয়া কাগজপত্র দিয়ে এই গাড়িটির নিবন্ধন করা হয়।
গাড়িটি জব্দের পর শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এর কার্যালয়, কাকরাইলএ মুসা বিন শমসেরকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তখন শুল্ক গোয়েন্দার এক কর্মকর্তা বলেন,মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে গাড়িটি বেনামে নিবন্ধন করেন।কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় যে,ওই গাড়িটি নিবন্ধনের জন্য দুই কোটি,১৭ লক্ষ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।তবে তখনই শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরে থেকে তার বিরুদ্ধে মামলা করার সুপারিশ করাছিল দুদককে।গত দু বছরে তার নামে মামলা দায়ের করা হয়নি।তবে আজ বৃহস্পতিবার দুদকের ঢাকা ১ এর পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী,মামলাটি দায়ের করেন। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে,আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে,জালিয়াতি ও প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ,ফৌজদারি অপরাধ করেছে।
এই আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসের জনশক্তি রপ্তানি দিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও,পরে বিভিন্ন ব্যবসার করে অডেল সম্পত্তির মালিক হন। এই ব্যবসায়ী বিলাসী জীবন যাপনের কারণে, অসংখ্যবার আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে তার নাম আসে।
মুসা বিন শমসের আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ সেলিমের বেয়াই।
এই আন্তর্জাতিক অস্ত্র ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে,পাকিস্তানি হায়নাদের সহযোগিতা করার অভিযোগ রয়েছে।যার অনুসন্ধান করছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল তদন্ত সংস্থা।