পাংশায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে প্রতিপক্ষের দোকানে তালা।

0
20
নিজস্ব প্রতিবেদক :-
রাজবাড়ী জেলার পাংশা উপজেলার মৌরাট ইউপির বাগদুলী খেয়াঘাটে আব্দুল করিম খানের মালিকানাধীন একটি টিনের ছাপড়া মুদীখানা দোকান নিয়ে ১৪৪ ধারা মামলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ এনামুল গং দোকান ঘরে তালা দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
  জানা যায়, পশ্চিম বাগদুলী গ্রামের মৃত গহের আলী খানের পুত্র আব্দুল করিম খান ২০০১ সালে খেয়াঘাট নামক স্থানের বাগদুলী মৌজার এসএ ৩ নং খতিয়ানভুক্ত আরএস ২৬৯ নং দাগের ১২৩ শতাংশের মধ্যে ১.৫১ শতাংশ জমির উপর খান ভ্যারাইটিজ স্টোর এন্ড টেলিকম নামক দোকান দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা শুরু করেন। পরবর্তিতে ব্যবসায়িক কারণে ঢাকায় অবস্থান করায় উক্ত দোকান বাগদুলী গ্রামের ওবায়দুল মুন্সীর নিকট ভাড়া দেন তিনি। কয়েক মাস হলো দোকানের ভাড়াটিয়া ওবায়দুল মুন্সী দোকানে নতুন করে মালপত্র তুলে ব্যবসা করতে থাকেন। এর মধ্যে প্রতিপক্ষ মৃত ইয়াজ উদ্দিনের পুত্র ওমর আলী ও শুকুর আলী মন্ডলের ছেলে এনামুল মন্ডল ওই দোকানঘর জবরদখল করার ষড়যন্ত্র করলে জমি ও দোকানঘরের মালিক আব্দুল করিম খান প্রতিকার চেয়ে রাজবাড়ীর বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ওমর আলী, এনামুল মন্ডল ও মিলন মন্ডলকে বিবাদী করে ১৪৪/১৪৫ ধারায় মামলা দায়ের করেন। যার মিস পিটিশন নং-৩৫৪/২০২১। বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, রাজবাড়ী/৭৩৪, তারিখ ২৪/০৮/২০২১ মোতাবেক পাংশা মডেল থানার এসআই কামাল হোসেন শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গত ২৯শে আগস্ট উভয় পক্ষকে নোটিশ প্রদান করেন। কিন্তু গত ৬ই অক্টোবর দোকানের ভাড়াটিয়া ওবায়দুল মুন্সী দুপুরের খাবার খেতে দোকানঘরে তালা দিয়ে বাড়ি যান। দুপুরের খাবার খেয়ে দোকানে ফিরে দোকান ঘর খুলতে গেলে সেময় প্রতিপক্ষের লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে দোকান ঘরে তালা মেরে চলে যায়। দোকান ঘরে তালামারার কারণে ওবায়দুল মুন্সী দোকান খুলে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারছেন না। দোকান ঘরের মধ্যে থাকা জিনিসপত্র নষ্ট হচ্ছে। এ ব্যাপারে ওবায়দুল মুন্সী ও আব্দুল করিম খান স্থানীয় মক্কেল মাতুব্বরদের কাছে ধর্ণা দিয়েও কোনো প্রতিকার পাচ্ছে না।
  আব্দুল করিম খান আরও বলেন, বিরোধ মীমাংসার জন্য একাধিকবার সালিশী বৈঠক হলেও বিবাদী পক্ষরা সালিশী বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করছে। ২০২০ সালের ১২ই অক্টোবর বিরোধপূর্ণ জমি মৌরাট ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান প্রামানিক ও স্থানীয় মক্কেল মাতুব্বরদের উপস্থিতিতে মাপজোক করে সীমানা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়। ভূমি সার্ভেয়ার আবু তালেব মন্ডল সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন আব্দুল করিম খানের দোকান ঘর ২৬৯ নং দাগে দ্বিতীয় পক্ষের দাগে নহে।
  এ প্রসঙ্গে গতকাল দুপুরে এ প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে মামলার বাদী আব্দুল করিম খান বলেন, বিজ্ঞ আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের লোকজন তার মালিকানাধীন দোকানঘরে তালা মেরে দিয়েছে। একটি স্বার্থান্বেষী মহল তাকে নানাভাবে ক্ষতি করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। নিজে ও তার পরিবারের লোকজন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন। এ ব্যাপারে আইনী প্রতিকার প্রত্যাশা করেন তিনি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here