রাজশাহী প্রতিনিধি।
বৃহস্পতিবার, (১৭ ই অক্টোবর )রাত সাড়ে নয়টার দিকে রহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি,তার স্ত্রী শিমু খাতুন কে অচেতন অবস্থায়, বাগমারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন।এবং জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক কে জানান,তার স্ত্রী বিষ পান করেছেন,অতিসত্বর তার স্ত্রীকে চিকিৎসা শুরু করার অনুরোধ করেন।পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক শিমুর চিকিৎসা করতে গিয়ে,শরীরে বিষপানের কোন আলামত খুঁজে না পেয়ে,জ্ঞান ফেরার জন্য সিমু খাতুন কে একটি ইনজেকশন পুশ করেন। তবে এর কিছুক্ষণ পরেই শিমু খাতুন এর মৃত্যু হয়।
এ সময় খবর পেয়ে শিমু খাতুনের স্বজনরা,হাসপাতালে আসার টের পেয়ে,স্বামী রহিদুল ইসলাম হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যান। রহিদুল ইসলাম বাড়ি বাগমারা উপজেলা বড় বিহানালী ইউনিয়নের, কুলিবাড়ি গ্রামে।তার পিতা মৃত হাসান আলী।
ঘটনা সম্পর্কে পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রায় এক যুগ আগে একই উপজেলার কাঠালবাড়ি গ্রামের শিমু খাতুনের সঙ্গে রহিদুল ইসলামের বিয়ে হয়, তাদের দুটি কন্যা সন্তান রয়েছে।শিমু খাতুনের ছোট ভাই রেজাউল করিম অভিযোগ করেন তার বোনকে বেশ কিছুদিন ধরে নির্যাতন করা হচ্ছে ।তিনি বলেন আমার বোনের নামে মিথ্যা অভিযোগ করে প্রায়ই মারধোর করতো,এবং বলতো আমার বোনের নাকি পরকীয়া রয়েছে,এ নিয়ে কলোহের জের ধরে আমার বোনকে মেরে ফেলা হয়েছে ।
পরে রাতেই বাগমারা থানায় বিষয়টি ,পুলিশকে অবহিত করলে।পুলিশ দ্রুত হাসপাতালে চলে আসেন,এবং রাতে সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে লাশটি ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বাগমারা থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই )আতাউর রহমান বলেন,ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায়,পুলিশ গুরুত্বর সঙ্গে ঘটনার তদন্ত করছে।