বাংলার রুপ, পটুয়াখালী প্রতিনিধি।।
করোনা ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে সরকার ২৫ ই মার্চ থেকে দেশের সকল নৌযান বন্ধের ঘোষণা দেন।সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পটুয়াখালী-ঢাকা রুটের সুন্দরবন নেভিগেশনের কোম্পানির সুন্দরবন ১৪ লঞ্চটি।এই কারনে লঞ্চটিকে লকডাউন করে সকল স্টাফ ও কেবিন ক্রুকে ১৪ দিন ঐ লঞ্চে কোয়ারেন্টাইনে থাকার আদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত রায় ও গোলাম সরওয়ার এই নির্দেশ দেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ ই মার্চ ) ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ওই লঞ্চটি রাত দশটার দিকে পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদীতে প্রবেশ করে টার্মিনালের অদূরে থামিয়ে বৈদ্যুতিক আলো নিভিয়ে দেয়। অভিযোগ ওঠে পথে পথে ঐ সময় লঞ্চ থেকে ট্রলার ও নৌকায় বিপুল সংখ্যক যাত্রী নামিয়ে দেয়া হয়।
খবর পেয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে ওই আদেশ দেন এবং কোয়ারেন্টাইন সময়ে লঞ্চটি টার্মিনালে নোঙরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এসময় বন্দর কর্মকর্তার লিখিত প্রত্যায়নপত্র গ্রহণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট অমিত রায় জানান, আইইডিসিআর কর্তৃপক্ষের নির্দেশমতে ঢাকা ফেরত যাত্রী বা লোকদের কোয়ারেন্টাইনে থাকার বাধ্যবাধকতা থাকায় ওই লঞ্চের সকল স্টাফদের লঞ্চেই কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়।
পটুয়াখালী নৌবন্দরের সহকারী পরিচালক খাজা সাদিকুর রহমান জানান, লঞ্চটি ঘাটে বা নদীর পাড়ে নোঙ্গর না করে ১৪ দিন মাঝনদীতে নোঙ্গর করে ওই লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুসসহ মোট ৩৬ জন স্টাফকে লঞ্চেই কোয়ারেন্টাইনেই থাকতে হবে।
প্রসঙ্গত লঞ্চটি পটুয়াখালী লঞ্চঘাটের কাছাকাছি আসলে প্রশাসনের অভিযানের খবর আঁচ করতে পেরে লঞ্চের সুপারভাইজার ইউনুস ট্রলারযোগে পালানোর চেষ্টা করেও শেষ রক্ষা পায়নি।