বাংলার রূপ,নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সাভারে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনকোলোজি বিভাগের এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট )সকালে সাভারের দরিয়ারপুরের একটি ফ্ল্যাট থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া ঐ চিকিৎসকের নাম স্যামুয়েল ফলিয়া (৩০)। তিনি এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগের সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।চাঁদপুরের জেলার মিশনপাড়া রোডের বার্নবাস বাদল ফলিয়ার ছেলে ডা. স্যামুয়েল ফলিয়া।তার স্ত্রী বর্তমানে গোপালগঞ্জে বসবাস করছেন এবং তাঁর স্বজনরা চাঁদপুরে গ্রামের বাড়িতে থাকেন।
স্যামুয়েল ফলিয়া এনাম মেডিকেল কলেজে পড়াশুনা করেছেন। তিনি মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন। পরে তিনি এই এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই নিজের কর্মজীবন শুরু করেন। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার তিলবাড়ি এলাকায় ডা. স্যামুয়েল ফলিয়ার পৈত্রিক বাড়ি হলেও তারা বসবাস করতেন চাঁদপুরে। বছর দেড়েক আগে গোপালগঞ্জের বাসিন্দা এ্যানডি লোরনার সঙ্গে বিয়ে হয় ডা. স্যামুয়েল ফলিয়ার।
স্যামুয়েল ফলিয়ার বোন ডা. পিংকি ফলিয়ার বরাত দিয়ে জানা যায়,স্যামুয়েলের স্ত্রী এ্যনডি লোরনার সাথে ফোনে উতপ্ত ভাবে দুজনের বাক বিতর্ক হয়েছে সে জন্য স্যামুয়েল ঘুমের ঔষধ খেতে পারে বলে এ্যনডি লোরনার ডাক্তার পিংকি ফলিয়াকে জানান।পরে তিনি তার ভাইয়ের মোবাইলে ফোন করে কোনো প্রকার উত্তর না পেয়ে ভাইয়ের বন্ধুদের বিষয়টি জানান।খবর পেয়ে তারা দ্রুত বিষয়টি পুলিশকে জানায়। পরে রাত দেড়টার দিকে পুলিশ ছয়তলা বাসার দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ডা. স্যামুয়েলকে। দ্রুত তাকে এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক নাজিউর রহমান জানান, ডা. স্যামুয়েল ফলিয়ার কক্ষ থেকে একটি সুইসাইডাল নোট পাওয়া গেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই ঘটনায় সাভার মডেল থানার পরিদর্শক ( ওসি )এ এফ এম সায়েদ জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জের ধরে ডা. স্যামুয়েল আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন। তবে ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে জানা যাবে মৃত্যুর কারণ। ডা.স্যামুয়েল ফলিয়ার মৃত্যুর খবর পেয়ে চাঁদপুর থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যরা সাভার এসেছেন। তাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।