মোঃসোহান আহমেদ সানাউল,
নিজস্ব প্রতিবেদক।।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ঢাকার সাভার উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে পালিত হলো শোকাবহ ১৫ আগষ্টের জাতীয় শোক দিবস।
শনিবার (১৫ আগস্ট) সকাল দশটায় সাভার উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু করা হয়। পরে উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও ১৫ই আগষ্টে নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান এমপি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাভার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মন্জুরুল আলম রাজীব।অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপ।
সাভার উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কামরুন নাহার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান, উপজেলা চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল আলম রাজীব, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাসুদ চৌধুরী, উপজেলা মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান ইয়াসমিন আক্তার সুমি, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ সায়েমুল হুদা, সাভার রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ,ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সার্কেল এ এস পি নজরুল ইসলাম,সাভার মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এএফএম সায়েদ, আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ রিজাউল হক দিপু প্রমুখ সহ সাভারে বসবাসরত মুক্তিযোদ্ধাগণ।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ এনামুর রহমান বলেন, ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো পাকিস্থানী শাসকদের মদদপুষ্ট কিছু সেনাকর্মকর্তা এবং নেপথ্য ভূমিকা রেখেছিলো যারা বাংলাদেশের অভ্যুদয় চায়নি তারা। এদের অনেককে বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমাও করেছিলেন দেশ স্বাধীন হবার পরে।
তিনি আরও জানান, বাংলাদেশ নামটি বঙ্গবন্ধুই প্রথম নামকরণ করেছিলেন। আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি, চলাফেরা করতে পারছি, দেশের উন্নয়নে বিভিন্ন পরিকল্পনা করতে পারছি- এসব পূর্ব পাকিস্থান থাকলে কখনোই সম্ভব হতো না। এজন্য যে মানুষটি আমাদেরকে একটি স্বাধীন রাষ্টে এনে দিয়েছেন, তার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দলমত নির্বিশেষে সকলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবো।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি মঞ্জুরুল আলম রাজিব বলেন, ১৯৭৫ সালের আজকের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। এই হত্যাকাণ্ডটি ছিল সুপরিকল্পিত ভাবে একটি দেশের কর্ণধারকে হত্যা করে তার আর্দশ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে শুধু সংবিধান থেকেই নয়, বাঙালির মন ও মগজ থেকে মুছে ফেলা। যার ভাষণে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাঙালি জাতি, ছাত্র, জনতা, কৃষক মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এবং যার বজ্রকণ্ঠ মস্তিষ্কে প্রতিধ্বনি তুলেছিলো- তাঁকে হত্যা ছিল মুক্তিযুদ্ধের সাথে বেঈমানি করা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যাকে আঘাত করতেই সাহস পায়নি, সেখানে স্বদেশি ঘাতকরা তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করেছিলো, যা ইতিহাসের কালো অধ্যায় হিসেবে স্মরণ করা হয়।তিনি বলেন যুদ্ধে হেরে যাওয়ার প্রতিশোধ নিতে এই হায়নারা
অনুষ্ঠানের সভাপতি সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামীম আরা নিপা তার সমাপনী বক্তব্যে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক হাসান তুহিন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল আলম সমর, ঢাকা জেলা উত্তর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক সায়েম মোল্লা, সাভার উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত হোসেন, পাথালিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ফারুক হোসেন প্রমুখ সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীবৃন্দ। আলোচনা সভা শেষে ১৫ই আগষ্ট নিহত সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।