মোঃশাহাদাত হোসেন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিনে যাওয়ার পথে ৪০ যাত্রী নিয়ে মাঝ সাগরে আটকে পড়া ট্রলারটিকে কোষ্টগার্ডের সহায়তায় ৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) রাত ৯টার দিকে টেকনাফ – সেন্টমার্টিন নৌ-রুটের সাগর মোহনা গোলারচরের বালুচরে আটকা পড়ে ট্রলারটি।
পরে বুধবার (৪ আগস্ট) ভোর ৫টার দিকে তাদের উদ্ধার করা হয় এবং তাদেরকে নিরাপদে সেন্টমার্টিনে নিয়ে যাওয়া হয়।
কোস্টগার্ড জানায়,কক্সবাজারের টেকনাফ খায়ুকখালী ঘাট থেকে ট্রলারটি ৪০ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার বিকেলে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওয়ানা হয়। রাত ৯টার দিকে গোলারচরের বালুচরে আটকা পড়ে ট্রলারটি। খবর পেয়ে কোস্টগার্ড আটকে পড়াদের উদ্ধারে ২টি ট্রলার পাঠায়। রাত ১২টার দিকে আটকে পড়া ট্রলারটি থেকে যাত্রীদের অন্য ট্রলারে নিরাপদে সরিয়ে আনা হলেও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে ট্রলারগুলো নিয়ে সেন্টমার্টিনে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয়।
এদিকে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, টেকনাফ খায়ুকখালী ঘাট থেকে একটি ট্রলার ৪০ জন যাত্রী নিয়ে মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে সেন্টমার্টিনের উদ্দেশে রওনা হয়। ট্রলারটি যেতে যেতে রাত ৯টার দিকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটের সাগর মোহনা সংলগ্ন গোলারচরের বালুচরে আটকা পড়ে। রাত ১০টার দিকে জানার পর বিষয়টি কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়।
ইউপি চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, কোস্টগার্ড ও ট্রলার মালিক সমিতির সদস্যরা খবর পেয়েই বালুচরে আটকে পড়াদের উদ্ধারে ২টি ট্রলার নিয়ে সেন্টমার্টিন থেকে সাগরে যায়। তারপর ভোররাতে আটকে পড়া ট্রলারটি সন্ধান পায়। পরে ইঞ্জিন বিকল হয়ে যাওয়ায় ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তাই যাত্রীদের অন্য ট্রলারে নিরাপদে তোলা হয়।
এবং দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও ভাটার কারণে যাত্রীদের নিয়ে কোনোভাবেই সেন্টমার্টিন ফেরা যাচ্ছিল না। একইসঙ্গে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে, তার উপর সাগর উত্তাল ছিল। সবকিছু মিলিয়ে বারবার উদ্ধার কাজ বিঘ্নিত হয়। তারপরও ৭ ঘণ্টা প্রচেষ্টা পর ঝড়ো হাওয়া কমলে জোয়ার শুরু হবার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীদের উদ্ধার করে ট্রলার ২টি বুধবার ভোর ৫টার দিকে সেন্টমার্টিন জেটিঘাটে নিয়ে আসা হয়। এরপর সবাইকে নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
সেন্টমার্টিন দ্বীপের বাসিন্দা কেফায়েত খান বলেন, ভোর ৫টার দিকে আটকে পড়া যাত্রীরা সেন্টমার্টিন জেটি ঘাট পৌঁছে। সবার অবস্থা খারাপ ছিল। তাদের উদ্ধারে স্থানীয় মাঝিমাল্লারা ভূমিকা রেখেছে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই যাত্রীদের নিজ নিজ বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়।
সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ জানান, টেকনাফ-সেন্টমার্টিন নৌরুটে গোলারচরে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। ভাটা পড়লেই জাহাজ কিংবা ট্রলার আটকে পড়ে। এটা ড্রেজিং করার জন্য বারবার দাবি জানিয়ে আসছে দ্বীপবাসী। কিন্তু এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের কাজ হয়নি। তাই আবারও জোর দাবি জানাই এই নৌরুটে যেখানে চর জেগেছে সেখানে দ্রুত ড্রেজিং করার ব্যাবস্থা করা হোক।