শেরপুর প্রতিনিধি:
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতিম সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। শেরপুর জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলে রয়েছে যার অসংখ্য নেতাকর্মী। কিন্তু বিগত ৫ মাস ধরে নেতৃত্বহীনতায় ঝিমিয়ে পড়েছে সংগঠনের সব কার্যক্রম। তাই সদ্য শেষ হওয়া জেলা পরিষদ নির্বাচনে জেলা ছাত্রলীগকে তেমন সংগঠিত ভাবে মাঠে দেখা যায়নি।
উল্লেখ্য যে, চলতি বছরের ১ আগস্ট শেরপুর জেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। এরপর কেন্দ্রীয় কমিটির দায়িত্বপ্রাপ্ত তিন সদস্যের একটি টিম- রাকিবুল ইসলাম ঐতিহ্য, মাহফুজুর রহমান নয়ন ও মোঃ হোসাইন গত ২৩ আগষ্ট শেরপুর সফরে এলে সেদিন জেলা শহরে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাঝে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পৃথক পৃথক মিছিল নিয়ে হাজির হয় পদ প্রত্যাশী নেতারা তাদের শক্তিমত্তার জানান দিতে।
সূত্রে জানা যায়, কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে ওইদিন ৪২ টি সিভি জমা পড়েছিলো। নেতৃত্ব পেতে পদ প্রত্যাশীদের শেষ মূহুর্তের দৌড়ঝাঁপ চলছে। কে হবেন নেতা এ নিয়ে প্রার্থী হিসেবে বর্ষণ কারুয়া, সোহেল, সানজিদ আল প্রত্যয়, মুজিবুর রহমান মুজিব, আতিকুর রহমান অনন্ত, মারিন মুশতারিফ, শাহিদুর রহমান শাহিন, নাজমুল ইসলাম এর নাম শোনা যাচ্ছে ঘুরে ফিরে। তবে তাদের মধ্যে আতিকুর রহমান অনন্ত স্বাধীনতাবিরোধী রাজাকার পরিবারের সন্তান বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কর্তৃক প্রকাশিত ইউনিয়ন ওয়ারি যুদ্ধাপরাধীদের তালিকায় ১০ নং গড়জরিপা ইউনিয়নে ৩৫ নম্বরে অত্র ইউনিয়নের চৈতাজানী গ্রামের আহাম্মদ আলী আতিকুর রহমান অনন্ত এর নানা বলে জানা যায়। গড়জরিপা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুবক্কর সিদ্দিক, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাফর আলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, আহাম্মদ আলী ওরফে আহম্মদ আলী মেম্বার মুক্তিযুদ্ধের সময় এলাকায় হত্যা ধর্ষণ এবং লুটতরাজের সাথে সরাসরি যুক্ত ছিলেন।
তাঁরা আরো দাবি করেন আতিকুর রহমান এর পিতা পার্শ্ববর্তী বানিয়াপাড়া গ্রামের সুরুজ্জামান নিজেও তার শ্বশুর আহাম্মদ আলীর সাথে ঘোরজান ও ঘোনাপাড়া গ্রামে হিন্দু মহল্লায় লুটপাট করেছেন। গড়জরিপা ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বশীল নেতৃত্বের প্রতি আহবান জানান স্বাধীনতা বিরোধী/রাজাকার পরিবারের কেউ যেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কোন কমিটিতে জায়গা না পায়।