এ জেড হীরা
শেরপুর ( বগুড়া) প্রতিনিধিঃ
তথ্য সূত্রেে জানা যায়, গত ৩১ জুলাই শনিবার সকাল ১১ টায় শেরপুর পৌর শহরের জগন্নাথ পাড়াস্থ, সেবা নার্সিং হোমে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হন অসুস্থ চান মিয়া। পরে ভর্তি করে
এবিষয়ে মৃতের ছেলে মঞ্জুরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, তার বাবার হার্টের সমস্যা জনিত রোগে ভুগছিলেন। এ কথা তারা ডাক্তারকে জানিয়েছেন। কিন্তু ডাক্তার তাদের কথার ভ্রুক্ষেপ নাকরে
এব্যাপারে সেবা নার্সিং হোমের মালিক ডাঃ এস এম শাহ আলীর সাথে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।
অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর ব্যাপারে জানতে চাইলে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে এখনও কেউ লিখিত বা মৌখিক কোন অভিযোগ করেনি তবেে অভিযোগ পেলে তদ্ন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য সেবা নার্সিং হোম দীর্ঘ দিন থেকে পৌর শহরের মধ্যে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। কিন্তু জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানাযায়, গত ২০১৮ সালের পরে তাদের নিবন্ধনের মেয়াদ উর্ত্তীণ হলেও, এখনও তারা নবায়ন করেননি। এছাড়াও বেসরকারী ক্লিনিক পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, অচেতন করার ডাক্তার, নার্স ও চিকিৎসা সরঞ্জামাদীর অভাব রয়েছে বলে জানা গেছে।
এবিষয়ে জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন ডাঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রতিটি বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক পরিচালনার কিছু সুনির্দিষ্ট নিয়ম নীতি রয়েছে। তার বাইরে কেউ যদি কোন ক্লিনিক-হাসপাতাল পরিচলনা করেন তা অবশ্যই অবৈধ। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
ক্লিনিক গুলোর অব্যবস্থাপনার কথা উল্লেখ করে শেরপুর নাগরিক স্বার্থ সংরক্ষণ কমিটির সভাপতি মুনসী সাইফুল বারী ডাবলু ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর শেরপুর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বলেন, শেরপুরের অধিকাংশ ক্লিনিকগুলো সরকারি বিধি মালার তোয়াক্কা করছে না। ফলে একদিকে যেমন নাগরিকরা সুচিকিৎসা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটছে। তারা এবিষয়ে কর্তৃপক্ষের নজরদারী বৃদ্ধি ও দোষীদের শাস্তির দাবি করেন।