এজেড হীরা
শেরপুরব (বগুড়া) প্রতিনিধি:
বগুড়ার শেরপুরে রেজিস্ট্রি দলিলকৃত সম্পত্তি বেদখল দিয়ে জোরপূর্বক বাড়ীঘর নির্মাণ করছে বলে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শিখর গ্রামে । তবে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ওই সম্পত্তিতে নির্মাণকাজ সাময়িক বন্ধ থাকলেও পুনরায় বাঁশের বেড়া দিয়ে বেদখল দেয়ার পায়তারা করছে ওই দখল হাজরা । তাছাড়াও প্রতিপক্ষরা নানা ভাবে প্রাণনাশের হুমকীসহ নানা ক্ষতিসাধন দিয়ে বেড়াচ্ছে মর্মে ভূক্তভোগী জমির মালিক সালাউদ্দিন জানিয়েছেন।
জানা যায়, যমুনা নদীতে বাড়ীঘর বিলীন হওয়া মৃত আমিরুল ইসলাম শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের শিখর গ্রামে ২০০৬ সালে জমি ক্রয় করে বসতি গড়ে। কিন্তু বাড়ী থেকে সরাসরি চলাচলের জন্য কোন রাস্তা না থাকায় নানা প্রতিবন্ধকতায় পড়তে হতো ওই পরিবারের লোকজনদের। পিতা আমিরুল ইসলামের মৃত্যুর পর ছেলে সালাউদ্দিন তাদের পরিবারের লোকজনদের নির্বিঘ্নে চলাচল করতে একই গ্রামের জনৈক সুলতান মাহমুদের কাছ থেকে রাস্তার জন্য শিখর মৌজার জেএলনং ১৮৪, এম আর আর খতিয়ান ২৯৫, দাগনং ২০৮/২০৬ বিগত ০৬/০৯/২০২১ তারিখে রেজিস্ট্রি দলিল নং ৮৪২৬ মুলে ২শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এবং সে থেকেই ওই জমিতে রাস্তা তৈরী করে পরিবারের লোকজনসহ আশেপাশের প্রতিবেশীরা চলাচল করে আসছিল। হঠাৎ করেই গত প্রায় ১মাস আগে ওই দলিলকৃত(রাস্তার নামে) সম্পত্তি বেদখল দেওয়ার জন্য একই এলাকার মৃত কাজিম উদ্দিনের ছেলে মোঃ শাহজালাল, মৃত জাবেদ আলীর ছেলে মিজানুর রহমান, মৃত ফজলুর রহমানের ছেলে শহীদুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলামের ছেলে সোহাগ ও শহিদুল ইসলামের স্ত্রী চামেলী বেগমসহ বেশ কয়েকজন হঠাৎ করে বাড়ীঘর(ইট-বালু-সিমেন্ট দিয়ে) তৈরী শুরু করে। এতে সালাউদ্দিন ও তার পরিবারের লোকজন প্রতিপক্ষকে ঘরবাড়ী নির্মাণে বাধা দিলে প্রতিপক্ষরা মারপিট করতে উদ্যত হয়। এ ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ২২ মার্চ শেরপুর থানায় ও ২৯ মার্চ শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এতে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওইসব বেদখলবাজদের ঘর-বাড়ী নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেয়।
এদিকে প্রতিপক্ষরা আবারো ওই জমি ছেড়ে দিতে ভূক্তভোগী পরিবারের লোকজনকে নানা ধরনের হুমকী-ধামকী ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছে। গত কাল ২৩ এপ্রিল শনিবার দুপুরে শেরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত অভিযোগে কথাগুলো তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন ভূক্তভোগী সালাউদ্দিন। তবে প্রতিপক্ষের হুমকীতে জীবনের নিরাপত্তাহীনতা ও জমির বেদখলমুক্ত করতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছেন ভূক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।