নিজস্ব প্রতিবেদক।
আজ একুশে নভেম্বর (বৃহস্পতিবার )সশস্ত্র বাহিনী দিবস।এই দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালন করার জন্য বিভিন্ন উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নানা কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।এই উপলক্ষে নৌ ঘাটি এবং বিমান ঘাঁটির মসজিদে দেশের কল্যাণের জন্য এবং সশস্ত্র বাহিনীর উন্নতি কামনা করে বাদ ফজর বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর ) জানায়, দিবসটি উপলক্ষে’ সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আব্দুল হামিদ ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা পৃথক পৃথক বাণী দিয়েছেন।
দেশের জন্য আত্মত্যাগকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে,রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার সেনানিবাসে আজ সকালে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়া সশস্ত্র বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ।নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আবু মোজাফফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী,ও বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত।তারা নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এই উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বঙ্গভবনে সাক্ষাৎ করবেন সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা।এই উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাস আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে,নির্বাচিত খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারী ও বীরশ্রেষ্ঠের উত্তরাধিকারী দের সংবর্ধনা জানাবেন।
উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ০৯ জন সেনা ০২ জন নৌ এবং ০৩ জন বিমান বাহিনীর সদস্য কে ২০১৮-১৯ সালের শান্তিকালীন পদক প্রদান করবেন । এ সময় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত থাকবেন ‘মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা,প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানরা,সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার।সামরিক সচিব, প্রেস সচিব,প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব,মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ,অনেক বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা।
আজ বিকেলে এই দিবসটি উপলক্ষে সেনাকুঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।এখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে জাতীয় সংসদের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা, প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি, প্রাক্তন প্রধান উপদেষ্টা,মন্ত্রী ও মন্ত্রীদের পদমর্যাদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের। এবং প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মর্যাদাসম্পন্ন ব্যক্তিদের। আরো থাকছেন ডেপুটি স্পিকার,বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশি রাষ্ট্রদূত,আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, মুখ্য সচিব,ঢাকার সংসদ সদস্যরা।প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ নির্বাচন কমিশনাররা,সামরিক কর্মকর্তা, তিন বাহিনীর প্রাক্তন, প্রধান ২০১৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রাপ্ত,একুশে পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।এছাড়াও আরো উপস্থিত থাকবেন সাংবাদিক, শিক্ষাবিদ,রাজনৈতিক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ীগন,স্বাধীনতা যুদ্ধে সকল বীরশ্রেষ্ঠ শহীদদের উত্তরাধিকারী,স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে ঢাকায় বসবাসরত খেতাব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ও তাদের উত্তরাধিকারী ও সামরিক কর্মকর্তাগন।
এই অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করা হবে বাংলাদেশ টেলিভিশনে।
এই দিবসটি উপলক্ষে ৩ বাহিনীর পক্ষ থেকে নানা ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।তারা ভিন্ন দিনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করবেন।এই অনুষ্ঠান উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার,এবং বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল গুলোতে অনুষ্ঠানগুলো পরবর্তীতে সম্প্রচার করা হবে।