এলাহী শাহরিয়ার নাজিম,
রৌমারী, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :
উত্তরাঞ্চলের ভারতীয় সীমান্ত ঘেঁষা কুড়িগ্রাম জেলা সদর থেকে নদী বিচ্ছিন্ন দুটি উপজেলা রৌমারী ও রাজিবপুর। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ নিত্য প্রয়োজনে প্রতিনিয়ত ঢাকা-রৌমারী মহাসড়ক দিয়ে ঢাকাসহ দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন জেলার সাথে যোগাযোগের সংযোগ সড়ক এটিই। মহাসড়কের উন্নয়নে জামালপুর জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নে গারোহরি নামক স্থানে একটি ব্রীজ নিমার্ণের কাজ শুরু হয় হওয়ায় বন্ধ রয়েছে বাস-মিনিবাস, ট্রাকসহ মালবাহী ভারী যান চলাচল। এতে দুই উপজেলার লক্ষ লক্ষ মানুষ চরম রয়েছে ভোগান্তি ও হতাশায়।
রাজিবপুর-রৌমারী’র ব্যবসায়ীদের মতে ঠিকাদার ও কদমতলার স্থানীয় গুটি কয়েকজন লোকের স্বার্থ হাসিলের লক্ষ্যে বেইলী ব্রীজের পাটাতন সরিয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগ ওঠায় বন্ধ করা হয় ব্রীজটি। এর ফলে উত্তরাঞ্চলের দুই উপজেলার ব্যবসায়ীসহ সাধারণ মানুষ বিপাকে পরে যায়। ঈদুল আযহা সামনে তবুও বন্ধ মহাসড়ক, খামারীরা ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করতে পারছে না তাদের কোরবানির পশু। গরু প্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা।
এ বিষয়ে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন, আলমগীর, দুলালসহ অনেকেই জানান, “সামনে ঈদ ব্রীজ বন্ধ, প্রত্যেকটি মালামাল ট্রাক থেকে নামিয়ে ভ্যান দিয়ে পার করছি। এতে খরচ বেশি হচ্ছে, সময় বেশি লাগছে। ব্রীজটি খুলে দিলে কষ্ট দূর হইত।”
রৌমারী হাট ইজারাদার রাজু আহমেদ খোকা এবং ট্রাক ও ট্যাংকলড়ি সংগঠণের সভাপতি জানান, “ঈদের সামনে রান্তা বন্ধ রয়েছে। যাতায়াত খরচ বেশি হওয়ায় পশু ব্যবসায়ীরা গরুর দাম খুবই কম বলছে। লোকসান হচ্ছে পশু পালনকারীদের। ঈদের আগেই দ্রæত ব্রীজ খুলে দেয়ার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি।”
কয়েকজন ট্রাক মালিক ও ড্রাইভার জানায়, “১৫ দিন যাবত ব্রীজ বন্ধের আটকে আছি। নাই খাওয়া-দাওয়া, নাই গোসল, গাড়ী রাইখা যাওয়াও যায় না, ভাই কষ্টের শেষ নাই।”
বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে, “কদমতলা বাস-মিনিমাস ও ট্রাক সংগঠণের নেতা-কর্মীরা কোন কথা বলতে রাজি হন নাই।”
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারও কথা বলতে রাজি হন নাই। তিনি জানিয়েছেন, “উপরের নির্দেশ আছে। আমি যেন কাউকে কোন নম্বর না দেই।”
তবে উক্ত ব্রীজের নির্বাহী প্রকৌশলীর সাথে কৌশলে ফোনে যোগাযোগ করায় তিনি জানান, “পানির শ্রোতের কারণে বেইলী ব্রীজের নিচে মাটি সরে গেছে। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্রীজ বন্ধ করেছেন। আমদের কিছু করার নাই।”