এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে র্দীঘদিন পর উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি দিয়েছে জেলা ছাত্রদল। কমিটিতে বিবাহিত, অছাত্র ও বহিরাগতদের নিয়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি দেওয়ায় সংর্ঘষের ঘটনা ঘটেছে। ৮ নভেম্বর রবিবার সন্ধ্যায় নতুন আহবায়ক কমিটি একটি আনন্দ মিছিল বের করলে পদ বঞ্চিতরা তাতে বাধা দিলে এ সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে।এতে সাব্বির হোসেন (২২), লাভলু মন্ডল (১৮) রেজাউল করিম মিম (১৭) ও মেহেদি হাসান বাবু আহত হয়। আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দলীয়সূত্রে জানাযায়, গত ০৬ নভেম্বর জেলা ছাত্রদল রৌমারী উপজেলা ছাত্রদলের ১ জন আহবায়ক ১২যুগ্ম আহবায়কসহ ২১ সদস্য ও রৌমারী সরকারি কলেজ শাখার ১ জন আহবায়ক, ৯ জন যুগ্ম আহবায়কসহ ২১ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করেন। এরপর থেকে চলছে বিক্ষোভ ও দফায় দফায় সংর্ঘষ।
পদ বঞ্চিতদের অভিযোগ প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়ার কথা থাকলেও কমিটিতে বিবাহিত, শ্রমিক ও বহিরাগতদের নিয়ে আহবায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। এনিয়ে তারা গতকাল থেকে বিক্ষোভ করে আসছিল। কমিটিতে স্থান পাওয়া ছাত্রদলের একনেতা বলেন, আমি যদিও এই আহবায়ক কমিটিতে আছি তবুও আমার একমিটি নিয়ে আপত্বি আছে। কারণ একমিটিতে বিবাহিত, শ্রমিক ও অনেককে আমারা চিনি না তাদেরকে নিয়ে জেলা ছাত্রদল মনগড়া কমিটি দিয়েছেন। এনিয়ে আমরা একটি বিক্ষোভ মিছিল করে যাওয়ার পথে আহবায়ক নাজমুল হোসেন রানার নেতৃত্বে ১০/১২জনের একটি গ্রæফ এসে আমাদের উপর হামলা করে। এসময় সাব্বির হোসেন, লাভলু মন্ডল ও মিম গুরুতর আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালেও তারা এসে দ্বিতীয় দফা হামলা চালায়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
এনিয়ে রৌমারীতে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুর্হুতে বড় ধরণের ঘটনার আশংকা রয়েছে।
এব্যাপারে রৌমারী উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রন্জু বলেন, উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক কমিটি সর্ম্পকে আমরা কিছুই জানিনা। জেলা ছাত্রদল অজ্ঞাত কারণে আমাদের সাথে কথা না বলে মনগড়া কমিটি দেওয়ায় এ সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে। এটার সমাধান আমি করতে পারবো না। তিনি আর বলেন, জেলা ছাত্র দলের উচিৎ দ্রæত একমিটি বাতিল করে প্রকৃত ছাত্রদের নিয়ে আমাদের সাথে সমন্বয় করে একটি সুন্দর কমিটি গঠন করা।