এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে পিতৃ পরিচয়হীন সন্তান জন্ম দিল প্রবাসীর স্ত্রী ইসমত আরা নামের এক গৃহবধু। অর্থ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রবাসীর স্ত্রীকে সুকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ ধর্ষণ করে আসছিল আব্বাস উদ্দিন (৫০) নামের এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় ওই গৃহবধু বাদী হয়ে ধর্ষক আব্বাস উদ্দিনকে আসামী করে কুড়িগ্রাম কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করেছেন। পরে রৌমারী থানা পুলিশ আসামীকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠান।
গৃহবধুর পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নটারকান্দিরচর গ্রামের আজাহারের মেয়ে ইসমত আরা (২০) গত তিন বছর আগে মোল্লারচর গ্রামের শহর আলীর ছেে আজমলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। দাম্পত্যজীবনে তাদের সংসাওে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
গত ২ বছর ধরে স্বামী আজমল হোসেন বিদেশে থাকায় সুযোগ বুঝে সুকৌশলে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তার স্ত্রী ইসমত আরার বাপের বাড়ির প্রতিবেশী শমসের মিস্ত্রীর ছেলে আব্বাস উদ্দিন (৫০) তাকে ধর্ষণ করে আসছিলেন। পরে ইসমত আরা অন্তঃসত্বা হয়ে পড়লে আব্বাস উদ্দিনকে একথা জানিয়ে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকেন। এতে অবস্থা বেগতিক দেখে সুকৌশলে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে আব্বাস ওই গৃহবধুকে শশুর বাড়ি মোল্লারচর গ্রামে পাঠিয়ে দেন। এমতাবস্থায় গত ১০ সেপ্টেম্বর ইসমত আরার ঘরে একটি ফুটফুটে ছেলে সন্তান জন্ম হয়।
এ বিষয়ে ইসমত আরার শশুর রহম আলী জানান, আমার ছেলের বউকে বিভিন্ন সময়ে আত্মীয়র পরিচয়ে আব্বাস উদ্দিন আমার বাড়ি থেকে তাদের বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যান। দিনদিন তার চেহারার পরিবর্তন হলে ২ মাস পর আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এতে আমার সন্দেহ হলে ছেলের বউকে ডাক্তারী পরীক্ষার মাধ্যমে জানতে পারি সে অন্তঃসত্বা। পরে ইসমত আরাকে বাদী করে আব্বাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে কোর্টে একটি নারী নির্যাতন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ইসমত আরা জানান, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন ভাবে সুকৌশলে একাধিককবার ধর্ষণ করেছেন। তার ধর্ষণের ফলে আমার ছেলে সন্তান জন্ম হয়েছে। আব্বাস উদ্দিন আমার বাপের বাড়ির আত্মীয় ।
এ ব্যাপারে রৌমারী থানার ওসি আবু মোহাম্মদ দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, ইসমত আরা বাদী হয়ে কোর্টে একটি নারী নির্যাতনের মামলা করেছেন। মামলার নোটিশের মাধ্যমে আব্বাস উদ্দিনকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।