রৌমারীতে নেশার টাকা যোগাতে চোর পেশায় জড়িত হচ্ছে অনেকেই।

0
416

এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায় বেড়েই চলছে চুরির ঘটনা। প্রতিনিয়ত দেখা যাচ্ছে এসকল চুরির সাথে জড়িত উঠতি বয়সি ছেলেরা। এসব তরুণ চোরের পৃষ্টপোষক হচ্ছে কোননা কোনো মাদক কারবারি। পুলিশি তৎপরতায়ও কিছুতেই থামছেনা না চুরির ঘটনা। এর পরেও চুরির ঘটনা ঘটায় আতঙ্কে নির্ঘুম রাত্রি যাপন করছে এলাকাবাসি। সীধ কেটে, জানালার গ্রীল ভেঙে, বাথ রুমের ভেন্ডিলেটর ভেঙে ঘরে ডুকে শোকেচ, ওয়্যারড্রপ ভেঙে নগদ টাকা, মোবাইল ফোন স্বর্ণালঙ্কার, ও ল্যাপটপ ছাড়া অন্য কিছু নিচ্ছেনা তারা। আবার এসব মালামাল উদ্ধার হচ্ছে মাদক বিক্রেতাদের কাছ থেকে। নেশার টাকা জোগাতেই চুরির পথ বেছে নিচ্ছে বলে মনে করেন এলাকার সুধিজন। এনিয়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
রৌমারী থানা পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে চুরির ঘটনার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত পাঁচ দিনের ব্যবধানে একাধিক মামলার আসামি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ইছাঁকুড়ি গ্রামের মৃত শহিদ মিয়ার ছেলে উপজেলার চোর সর্দার নামে পরিচিত আলমঙ্গীর হোসেন (২৫) ও একই ইউনয়নের নটান পাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে বিপুল মিয়া (২৮) কে চোরাই মালামালসহ জনতা আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনটি আগ্নেয়াস্ত্রসহ একজনকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।
এব্যাপারে রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ রুপ কুমার সরকার বলেন, বেশিরভাগ চোরদের পৃষ্টপোষকতা মাদক কারবারিরা করছে। গত পাঁচ দিনে বিপুল মিয়া ও আলমগির হোসেন নামের দুই পেশাদার চোর, চোরদের পৃষ্টপোষক ও মাদকের একাধিক মামলার আসামি আসাদুল ইসলামকে গ্রেফতার করে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, উদ্ধারকৃত মালামাল বিভিন্ন মডেলের ১২টি মোবাইল ফোন, নগদ অর্থ ১৪ হাজার ৫’শ, স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে ব্রোঞ্চের তৈরী ১ জোড়া অনন্তবালা, স্বর্ণের প্রলেপ দিয়ে ১টি ব্রোঞ্চের তৈরী চুরি, ৫ আনা ৫ রতি ওজনের ১টি, ২ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন, ২ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের কানের দুল, ১ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের বেবি আংটি, ৪ আনা ওজনের স্বর্ণের ১টি লেডিস আংটি, ১টি স্বরর্ণর নাকফুল, ১টি সিটি গোল্ডের নাকফুল, ১টি সিটি গোল্ডের কানের দুল, ১ভরি ওজনের জোড়া পায়ের নুপুর ও ১ টি স্বর্ণের নাকফুল সহ গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধারকৃত আলামত বিধি মোতাবেক জব্দ করে স্বর্নকার দ্বারা পরীক্ষা ও পরিমাপ করা হয়।