এলাহি শাহরিয়ার হোসেন,
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে জমিজমার সীমানার জের ধরে ছবের হোসেন (৪০), নুর জাহান (৫০), সুলতান মিয়া (৫০) লিপন মিয়া (১৫) ও ছবের হোসেনের স্ত্রী নাজমা খাতুন (৩৬) নামের ৫ ব্যক্তিকে এ্যালোপাতারি কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত ব্যক্তিদেরকে উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। (৭ আগষ্ট) শুক্রবার রাত পনে ৯ টার দিকে উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের বারবান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, মামা বক্তার আলী এবং প্রতিবেশী জুলহাসের মধ্যে জায়গা জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ চলে আসছে। উক্ত বিরোধের জের ধরে (৭ আগষ্ট) শুক্রবার রাত পনে ৯ টার দিকে নিজ বাড়ি হতে বারবান্দা গ্রামের আয়নাল হকের বসত বাড়ির সামনে পাকা রাস্তায় পৌছা মাত্রই বিবাদিগণ পূর্ব পরিকল্পিতভাবে উৎপেতে থাকা রফিকুল ইসলাম (৩৫), মাসুদ মিয়া (২২), আমিরুল ইসলাম (৩০), মামুন মিয়া (২২), ছবের আলী (৫২), আবুল হাশেম (৫৫) ও মতলেব হোসেন (৪২)সহ ১৫ জন তাদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতারিভাবে কুপাতে থাকে তাদের। এ সময় ছবের হোসেন কুপের আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে গ্রামের লোকজন আত্মচিৎকার শুরু করে। পড়ে মামাতো বোন নুরজাহান, দোকানে বসে থাকা মামা সুলতান মিয়া এবং মামাতো ভাই লিপন মিয়া উদ্ধারের জন্য এগিয়ে আসলে তাদেরকেও এলোপাতারি ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে। মারামারির সংবাদ ছবেরের স্ত্রী নাজমা খাতুন এগিয়ে আসলে এলোপাতারি মারপিট করে আহত করে এবং টানা হেঁচরা করে শ্লীতাহানী ঘটায়। পরে চাচাতো ভাই মাহবুব ও খালু শশুর মনোর উদ্দিন চিকিৎসার জন্য অটোভ্যানে এনে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। আহত ব্যক্তিদের গুরুতর অবস্থা দেখে রৌমারী হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য সবাইকে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মোমেনুল ইসলাম বলেন, ছবের হোসেনসহ আহত ব্যাক্তিদের সকলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।
ছবের হোসেন বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে রৌমারী থানার ওসি আবু মো.দিলওয়ার হাসান ইনাম বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।