খোরশেদ আলম,
রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার গোলাকান্দাইল ৫ নং ক্যানালের মুর্তিমান আতঙ্কের নাম রাজন ও বিদ্যুৎ।গোলাকাদাইল ৫ নং ক্যানাল এলাকার প্রায় ৫ হাজার বাসিন্দা তাদের কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছে । তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করার সাহসটুকু পায়না। কেউ প্রতিবাদ করতে গেলে হামলা মামলা ও বাড়িঘরে ভাংচুর করে তাদের বাহিনীর সদস্যরা। আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজন ও বিদ্যুৎ বাহিনীর সদস্যদের মাঝে সপ্তাহে দুই থেকে তিনবার সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রাজন ও তার বাহিনীর শেল্টার দেন তারেক নামে একজন। অপরদিকে বিদ্যুৎ ও তার বাহিনীর সদস্যদের শেল্টারদাতা হিসেবে কাজ করেন স্থানীয় ইউপি সদস্য নাসির উদ্দিনের ছোট ভাই নূর আলম। তার দুজনেই দলীয় প্রভাব খাটিয়ে রাজন ও বিদ্যুৎ বাহিনীর সদস্যদের শেল্টার দিয়ে যাচ্ছে। জানা যায়, গত ২৪ নভেম্বর আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রাজন ও বিদ্যুৎ এই দুই গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এসময় দুপক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এসময় একপক্ষ অপরপক্ষকে লক্ষ্য করে ইটপাল নিক্ষেপ করে। এতে করে এলাকা গুলোতে সাধারণ মানুষের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সকল ঘটনায় আতঙ্কে ওই এলাকায় সন্ধ্যার পর দোকানপাট বন্ধ করে দিতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে লোকজন গোলাকান্দাইল ৫নং ক্যানেল এলাকায় বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছেন। জমি-জমা, ইট বালু-সিমেন্টসহ মালামাল সাপ্লাই, নতুন ঘরবাড়ি নির্মাণ করতে মিষ্টির নামে চাঁদা আদায়সহ বিভিন্ন আধিপত্য বিস্তার করছে বিদ্যুৎ, ইকরাম, মাসুম বিল্লাহসহ তাদের লোকজন। অপর দিকে এ আধিপত্য ছিনিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজন, অলিসহ তাদের লোকজন। দীর্ঘ দিন এলাকার বাইরে থেকে ফের এলাকায় প্রবেশ করে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে রাজন ও বিদ্যুৎ বাহিনীর লোকজন। এতে কয়েকদিন ধরেই উভয় গ্রুপের লোকজনের মাঝে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা আরো জানান, রাজন ও বিদ্যুৎ গ্রুপের অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে এলাকার নিরীহ মানুষ। ভয়ে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস টুকুও পায়না। হত্যা, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে উভয় গ্রুপের লোকজনের বিরুদ্ধে। এছাড়া এসকল সদস্যরা গোলাকান্দাইলে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধের সঙ্গে জড়িত রয়েছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। ভয়ে ও আতঙ্কে এলাকার ব্যবসায়ীরা দোকান পাট বন্ধ করে দেয়। এ দুই গ্রুপের অস্ত্রের মহড়ে সপ্তাহে এক থেকে দুইবার চলে। এতে করে ওই এলাকায় বসবাসকারী সাধারণ মানুষ আতঙ্কে ও চরম নিরাপত্তাহীনতায় বাস করছে। পোশাক কারখানার শ্রমিকরাও রয়েছে চরম আতঙ্কে। এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, সংঘর্ষের ঘটনায় দু’পক্ষের নামেই পৃথক মামলা হয়েছে। ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।