রাজশাহী প্রতিনিধি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ফিরোজা আনাম এর উপর সন্ত্রাসী হামলা হয়।গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্টেডিয়াম সংলগ্ন এলাকায়, এই ঘটনা ঘটে। পরে ফিরোজা আনাম কে উদ্ধার করে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে নিয়ে যাও হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পরে তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
ফিরোজ আনামের সঙ্গে হাসপাতালে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর এস এম মোখলেসুর রহমান ‘বাংলার রূপ নিউজ 24 ‘কে জানান, ফিরোজ ও তার বান্ধবী বিশ্ববিদ্যালয়ে স্টেডিয়ামে একটি কম্পিউটার দোকানে কাজ করে ফিরছিলেন।তখন মোটরসাইকেলে করে দুজন লোক এসে তাদের পথ অবরোধ করে মোবাইল ফোন কেড়ে নিতে চায়,ফিরোজ আনাম মোবাইল ফোন না ছারায় দুর্বৃত্তরা তার মাথায় হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেন।পরে মোবাইল ফোন ফেলে রেখে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান।
এ খবর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছড়িয়ে পড়লে,রাত সোয়া দশটার দিকে অর্থনীতি বিভাগের পাশাপাশি সকল বিভাগের শিক্ষার্থীরা একজোটে মহাসড়ক অবরোধ করেন এবং বিক্ষোভ শুরু করেন।বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর হুমায়ুন কবিরের উপর চরাও হন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে ডিবি পুলিশের একটি দল কিশোর কুমার নামে অর্থনীতি চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আটক করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা।এ বিষয়ে পরে পুলিশের কাছে জানতে চাইলে পুলিশ কিছু বলতে রাজি হয়নি।
তখন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা তাদের সহপাঠীকে আটকের ব্যাপারে প্রক্টর হুমায়ুন কবির কে জিজ্ঞেস করলে,তিনি বলেন তোমরা আমার উপর চড়াও হওয়ার কারণে হয়তো আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে আটক করেছে।তবে তাকে আমি নিজ দায়িত্বে ছাড়িয়ে আনার কথা দিচ্ছি তোমাদের।
এ সময় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ১২ ঘন্টার মধ্যে এই হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে হবে।এবং বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের ভিতরে সকল বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ সহ আরো কিছু দাবি করেছেন তারা।
এ ব্যাপারে রাজশাহীর মতিহার থানার পরিদর্শক বলেন, এই হামলাকারীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী,নাকি বহিরাগত তা এখনো জানা যায়নি। আমার মনে হচ্ছে তারা ছিনতাই করতে আসেনি , ছিনতায়ের উদ্দেশ্যে আসলে টাকা-পয়সা সহ সবই ছিনতাই করত,এবং আঘাত করার পরেও মোবাইল ফেলে রেখে যেত না,তবে যে কোন উদ্দেশ্যে হাসিল করতে তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। তবে কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে নয়,তিনি বলেন আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সাথে কথা বলে,বিষয়টি খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।আমরা সঠিক প্রমাণ পেলে হামলাকারীদের আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নেব।