মাহমুদ হাসান জুয়েল
রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের শহীদ মিলন হোস্টেলের চারতলা ভবনের ছাদ থেকে যুবদল নেতা আতিকুল ইসলাম রানুকে ফেলে দেয়ার অভিযোগে একই দলের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন সাজুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে নিহত রানুর পরিবার।
গত ৩ আগস্ট শহীদ মিলন হোস্টেল ভবনের নিচ থেকে আহত রানুকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। মেডিকেলের আইসিইউতে চিকিৎসাধী অবস্থায় (৭ আগস্ট) শনিবার রাতে রানু মারা যান।
রানুর চিকিৎসকরা জানান, রানুর মাথা, ডান পাঁজর ও ডান হাতে গুরুত্বর আঘাত ছিলো।রানুর পরিবার ও স্থানীয়রা সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, একটি ট্যাব চুরির ঘটনায় রানু সাজুকে ৩ আগস্ট সকালে মারপিট করে তারপর বিকালে রানুকে ধরে এনে প্রথমে হোস্টেলের নিচে মারপিট করে তাকে তারপর ছাদের ওপর তোলে সাজু ও তার দলের সদস্যরা। ছাদের ওপর রানুকে তুলে বাঁশ দিয়ে পেটাতে পেটাতে ছাদ থেকে ফেলে দেয়া হয় ।
অনেকের অভিযোগ সাজু শহীদ ডাক্তার মিলন হোস্টেলে একটি রুম দখল করে তার ইয়াবা ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করতো। সেখানে নিয়মিত বসতো ইয়াবা সেবনের আসর। পুলিশের কাছেও আছে একই রকম চাঞ্চল্যকর তথ্য।
সাজুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলাও আছে বলে জানিয়েছেন রংপুর মহানগর পুলিশের সিনিয়র সহকারী কমিশনার (ডিবি ও মিডিয়া) ফারুক হোসেন।
রংপুর মেডিকেলের পরিচালক ডাক্তার রেজাউল করীম হোস্টেলের রুম দখল করে মাদক ব্যবসার কথা সরাসরি অস্বীকার করলেও প্রায়ই’যে বহিরাগতরা এখানে এসে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতো বলে সাংবাদিকদের জানান।
পরিচালক জানান , রুম দখল করে মাদক ব্যবসার লিখিত কোন প্রমাণ নেই। তবে আমরা শুনেছি বহিরাগত অনেকেই ওই হোস্টেলটিতে এসে চুরি-ছিনতাই করতো বলে অভিযোগ আছে। তিনি বলেন, এ ধরণের অপরাধ বন্ধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
নিহত রানুর চাচা আনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩ আগস্ট রংপুর মেট্রোপলিটন কোতওয়ালী থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এ ঘটনায় সাজু নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মূল আসামী সাজ্জাদ হোসেন সাজুসহ বাকীদের ধরতে অভিযান চলছে বলে জনিয়েছেন এক পুলিশ কর্মকর্তা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রানু রংপুর মহানগর যুবদলের সদস্য ও ১৬ নং ওয়ার্ড যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক সাজুর বিরুদ্ধে চুরি-ছিনতাই, বোমাবাজিসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।