আরিফুল হক তারেক
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:
মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুরাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে অর্থ আত্যসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ঢাকায় অবস্থান করে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার মেয়ে ও গাজীপুরের বাসিন্দা মনির হোসেনের স্ত্রী নারগিছ আক্তার কনার ২২ লক্ষ টাকা আত্যসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই নারী। পাওনা টাকা না পেয়ে আদালতের শরণাপন্ন হওয়ায় গোপনে তুলে রাখা কনার আপত্তিকর ছবি তার আত্মীয় স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে মান সম্মান ক্ষুন্ন করার চেষ্টা চালাচ্ছে মুরাদ মাহমুদ।
জানাগেছে গাজীপুর মহানগরের বাসিন্দা মনির হোসেনের স্ত্রী নারগিছ আক্তার কনার সাথে ব্যবসার সুবাদে মুলাদী উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুরাদ মাহমুদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্রধরে মুরাদ মাহমুদ ওই নারীর বাসায় যাওয়া আসা করতো এবং ওই নারীও মুরাদ মাহমুদের পল্লবীর বাসায় যেত। নারগিছ আক্তার কনাকে বাসায় নিয়ে মুরাদ মাহমুদের সুকৌশলে আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও চিত্র ধারণ করে রাখে। পরবর্তীতে ব্যবসার কথা বলে মুরাদ মাহমুদ বিভিন্ন সময় নারগিছ আক্তার কনার কাছ থেকে ২২লক্ষ টাকা ধার নেয়। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে সে কনাকে একটি চেক দিয়েছিলো। ব্যাংকে টাকা না থাকায় নারগিছ আক্তার কনা আইনজীবীর মাধ্যমে মুরাদকে লিগ্যাল নোটিশ করে এবং পরবর্তীতে গাজীপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করে। যার নম্বর ৪৫৮/২০। ওই মামলায় মুরাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হয়। মামলা ও গ্রেফতারী পরোয়ানা জারিতে মুরাদ ক্ষিপ্ত হয় এবং তার কাছ থাকা গোপন ছবি নারগিছ আক্তার কনার ভাই সাদেক হোসেন, চাচা রফিকুল ইসলাম ও নাছিরুল ইসলামের কাছে পাঠিয়ে দেয় এবং মামলা তুলে না নিলে ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করার হুমকি দেয়। এতে ভীত হয়ে নারগিছ আক্তার কনা পল্লবী থানায় মুরাদ মাহমুদের বিরুদ্ধে সাধারণ ডায়েরি করে। যার নম্বর ১১৯৯। এব্যাপারে মুরাদ মাহমুদ জানান নারগিছ আক্তার কনা সাথে আমার সম্পর্ক ভালো। ব্যবসায়িক লেনদেনের জন্য ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হওয়ায় সে মামলা দায়ের করেছে। বিষয়টি পারিবারিক ভাবে দ্রত সমাধান করা হবে।