মুলাদীর সফিপুরে ভাঙা সেতুতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল।

0
10

আরিফুল হক তারেক
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:

মুলাদী উপজেলার সফিপুরে ভাঙা সেতুতে বাঁশ-গাছ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন বাসিন্দারা। দীর্ঘ ১০ বছরেও পূর্বচরপদ্মা ভূয়াই’র খালে সেতুটি সংস্কার না হওয়ায় স্থানীয়রা জোড়াতালি দিয়ে ব্যবহার করছেন। ভাঙা সেতুতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সফিপুর ইউনিয়নের কয়েক হাজার মানুষ। শিক্ষার্থীসহ ইউনিয়নবাসী ঝুঁকি নিয়ে ওই সেতু দিয়ে বাজার, হাসপাতাল ও স্কুল কলেজে যাতায়াত করছেন। উপজেলার সীমান্তবর্তী জায়গায় সেতুর অবস্থান হওয়ায় জনপ্রতিনিধিরা সেতু সংস্কারের উদ্যোগ নিচ্ছেন না বলে অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে, উপজেলার সফিপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে ভূয়াই খালের দুই পাশে রয়েছে বাজার। বাজারের সংযোগের জন্য ১৯৯৫-১৯৯৬ সালে সেতু নির্মাণ করা হয়। এই সেতু দিয়ে ভুয়াই বাজারের ব্যবসায়ীসহ সফিপুর ইউনিয়নের ৫/৬টি ওয়ার্ডের কয়েক হাজার মানুষ চলাচল করে। সফিপুর ইউনিয়নের কয়েকটি ওয়ার্ড মুলাদী উপজেলা সদর থেকে নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন। পার্শ্ববর্তী গোসাইরহাট ও শরীয়তপুর উপজেলার সাথে তাদের যোগাযোগ অপেক্ষাকৃত সুবিধাজনক। তাই ওই এলাকার লোকজন রোগীদের পার্শ্ববর্তী গোসাইরহাট ও শরীয়তপুর হাসপাতালে নেওয়ার জন্য এই সেতু ব্যবহার করে। পূর্বচরপদ্মা গ্রামের শিক্ষার্থীরা হাটুরিয়া স্কুল, ইকরাকান্দি মাদরাসা, ইদিলপুর কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাতায়াত করার একমাত্র মাধ্যম এই সেতু। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ভাঙা থাকায় ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থী ও স্থানীয়রা ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। মাঝে মধ্য ঘটছে দুর্ঘটনা। পূর্ব চরপদ্মা গ্রামের বাসিন্দা ও ভুয়াই বাজারের ব্যবসায়ী জাকির হোসেন জানান, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অনেক আগে ইউনিয়বাসীর সুবিধার জন্য সাঁকের স্থলে অ্যাঙ্গেল ও কংক্রিটের পাটা দিয়ে সেতু তৈরি করা হয়। সেতু নির্মানের ২/৩বছরের মধ্যে বেশ কয়েকটি পাটা ভেঙে যায়। দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি সংস্কার করা হয়নি। এতে বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মুলাদী ও গোসাইরহাট উপজেলার মাঝামাঝি সেতুর অবস্থান। ২৬ বছর আগের সেতু দিয়ে ইউনিয়নবাসীকে চলাচল করতে হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা উদ্যোগ না নেওয়ায় দীর্ঘ ১০ বছর ধরে সেতুর সংস্কার হয়নি। বিগত সংসদ নির্বাচনের আগে এমপি আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপু বাজারে সভা করে সেতু নির্মাণের আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত তা বাস্তবায়ন করা হয়নি। পূর্ব চরপদ্মা গ্রামের শাহজাহান সিকদার বলেন, সেতু ভেঙে যাওয়ায় ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা বাঁশ-গাছ দিয়ে চলাচল করছে। এই সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল করতে পারে না। রোগীদের হাসপাতালে নেওয়া ও মালামাল পরিবহনে সমস্যা হচ্ছে। বিশেষ করে নারীরা চলাচলের সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়। সফিপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবু মুছা হিমু মুন্সী জানান, সেতুটি নির্মানের দায়িত্ব মুলাদী উপজেলা প্রকৌশলী ও বরিশাল নির্বাহী প্রকৌশলীর। জনগুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটি নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে যোগাযোগ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ত্রাণ মন্ত্রণালয় মাটি পরীক্ষা করেছে। আশা করা যায়, সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা হবে। মুলাদী-বাবুগঞ্জের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব গোলাম কিবরিয়া টিপু জানান, সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। ঈদের পরে উপজেলা প্রকৌশলীর সাথে আলোচনা করে সেতু নির্মাণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here