মুলাদীতে কাগজে কলমে থাকলেও বাস্তবে নেই স্কুলের জমি।

0
10

আরিফুল হক তারেক
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি:

মুলাদীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক জমি খুজে পাচ্ছেন না সংশ্লিরা। উপজেলার কাজিরচর ইউনিয়নের ডিক্রীরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অর্ধেক জমির অস্তিস্ত পাওয়া যাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন প্রধান শিক্ষক। ওই বিদ্যালয়ের নামে ৩৩ শতাংশ জমি থাকলেও মাত্র সাড়ে ১৬ শতাংশ জমি অস্তিস্ত রয়েছে। ফলে বিদ্যালয়ের মাঠ নেই এবং ভবন ছাড়া কোনো জমিও নেই। জানা গেছে, ডিক্রীরচর গ্রামের মাস্টার আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সিকদার ১৯৯৪ সালে বাধঘাট এলাকায় ২টি দাগে ৩৩ শতাংশ জমি দান করে ডিক্রীরচর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। পরে বিদ্যালয়টি রেজিষ্ট্রিভুক্ত এবং ২০১৩ সালে জাতীয়করণ হয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় আলহাজ্ব আব্দুল মান্নান সিকদার জমি দানের বিনিময়ে তার পুত্রবধুকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০ সালের ফেব্রæয়ারি মাসে বিদ্যালয়ের নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়। ওই সময় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সার্ভেয়ার দিয়ে জমি পরিমাপ করতে গিয়ে সাড়ে ১৬ শতাংশ জমির অস্তিস্ত পান। ওই জমি থেকে মুলাদী-বরিশাল মহাসড়কে তিন শতাংশ জমি চলে গেছে। তাই বিদ্যালয়ের জমি রয়েছে সাড়ে ১৩শতাংশ। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুরাইয়া আক্তার বলেন, বিদ্যালয়ের দলিল অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ জমি থাকার কথা। সার্ভেয়ার দিয়ে ডিক্রীরচর মৌজায় ১১৫নং দাগে রাস্তাসহ সাড়ে ১৬শতাংশ জমি পেয়েছি। বিদ্যালয়ের ১৮১৬ দাগের জমির কোনো অস্তিস্ত পাওয়া যায়নি। বর্তমানে বিদ্যালয়ের একটি ভবন নির্মানাধীন। ওই ভবন করার পরে আর কোনো জমি থাকে না। দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ের মাঠ নেই। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি শহীদুল ইসলাম ফকির বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সময় জমিদাতা যে জমি দান করেছিলেন তার ১৮১৬ দাগের জমি আগেই অন্যত্র বিক্রি করে দিয়েছেন। বিদ্যালয়ের জমি সমস্যা সমাধানের জন্য চলতি বছর মার্চ মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে লিখিত আবেদন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সার্ভেয়ারের অবহেলায় বিদ্যালয়ের সীমানা নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্বার্থে সম্পূর্ণ জমি সমস্যা সমাধান করা প্রয়োজন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জাকিরুল হাসান বলেন, বিদ্যালয়ের স্বার্থে জমি সমস্যা সমাধানের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মাদ হোসাইনী জানান, তিনি উপজেলায় মে মাসে যোগদান করেছেন। বিদ্যালয়ের জমি সংক্রান্ত সমস্যার বিষয়টি জানা নাই। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here