মোঃফোরকান হোসেন
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
বরিশালের মুলাদীতে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে জেলেদের ২০ বস্তা চাল উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. রাশেদ বেপারীর বসতঘর থেকে চালের বস্তাগুলো উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ওই ইউপি সদস্যের ঘরে টিসিবির মালামাল পেয়েছেন উদ্ধারকারী কর্মকর্তারা।
মো. রাশেদ বেপারী চরকালেখান ইউনিয়নের কায়েতমারা গ্রামের মৃত আ. রশিদ বেপারীর ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের সদস্য।
সরকারি প্রণোদনার চাল জেলেদের না দিয়ে আত্মসাতের জন্য ইউপি সদস্য তার বাড়িতে রেখে দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা।
জানা গেছে, উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়ন পরিষদে গত দুই দিন ধরে জেলেদের চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। তালিকাভুক্ত অনেক জেলে চাল না পেলেও ইউনিয়ন পরিষদের গুদামের চাল শেষ হয়ে যায়। এছাড়া কয়েকজন জেলে রাশেদ বেপারীর বাড়িতে সরকারি চাল নিতে দেখেন। সংবাদ পেয়ে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী পুলিশ নিয়ে ইউপি সদস্যের বাড়িতে গিয়ে রাশেদ বেপারীর ঘরের পেছনের বারান্দা থেকে সেলাই করা ১৩ বস্তা এবং সেলাইবিহীন ৭-৮ বস্তা চাল আটক করেন।
উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুব্রত গোস্বামী বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ইউপি সদস্যের বাড়ি থেকে সেলাই করা ১৩ বস্তা চাল উদ্ধার করা হয়েছে। চালগুলো তালিকাভুক্ত জেলেদের মাঝে বিতরণ না করে ইউপি সদস্যের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে চালগুলো জব্দ করা হয়েছে এবং তদারকী কর্মকর্তা (ট্যাগ অফিসার) মনির হোসেনের সহকারীকে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় নিয়মিত মামলা করা হবে।
এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য মো. রাশেদ বেপারী বলেন, কার্ডধারী জেলেদের মাঝে চালগুলো বিতরণের জন্যই আমার ঘরে এনে রেখেছি। জেলেরা পরবর্তীতে আমার কাছ থেকে চাল নিত।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ হোসাইনী বলেন, বিষয়টি জেনেছি এবং উদ্ধারকৃত চাল জব্দ করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মাকসুদুর রহমান বলেন, চাল উদ্ধারের বিষয়টি শুনেছি। আমি থানার বাইরে আছি। রাতে ফিরেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।