মসজিদের দানবাক্সে পাওয়া গেল প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা।।

0
31
মোঃশাহাদাত হোসেন 
নিজস্ব প্রতিবেদক:
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবক্স খুললেই পাওয়া যায় কোটি কোটি টাকা, বিদেশি মুদ্রাসহ সোনাদানা।এ মসজিদে প্রতিনিয়ত দেশের নানা প্রান্ত থেকে ছুটে আসেন হাজারো মানুষ মানত আদায় করতে।এই মসজিদের দানবাক্স গুলো প্রতি তিন মাস পর পর খোলা হলেও এবার করোনা পরিস্থিতির কারনে দানবাক্স খোলা হয় ছয় মাস পর। আর এবার টাকার পরিমাণ দাঁড়ায় পৌনে দুই কোটি টাকা।
কিশোরগঞ্জ শহরের হারুয়া এলাকায় অবস্থিত ঐতিহাসিক এই পাগলা মসজিদ।এই মসজিদে ৮ টি লোহার দানবাক্স রয়েছে,এগুলোতে প্রতি তিন মাস পর পর খুললেই মিলে কোটি টাকা।বৈশ্বিক মহামাড়ি করোনার জন্য এবার দানবাক্স গুলো ছয় মাস পর ২২ আগষ্ট শনিবার খোলা হয়েছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবে  শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা মিলে গুনছেন এই নগদ টাকা সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এমনি দৃশ‍্য।অবিশ্বাস্য হলেও সত্য’ দিনভর গগনা শেষে টাকার  পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি ৭৫ লাখ টাকা।
লোকগল্পে জানা যায় পাগলবেশী এক আধ্যাত্মিক ব্যক্তি নরসুন্দা নদীতে মাদুর পেতে ভেসে এসে বর্তমান মসজিদের কাছে ধ্যানমগ্ন হন। ওই ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার সমাধির পাশে এই মসজিদটি গড়ে উঠে।সে জন্য মসজিদটি পাগলা মসজিদ নাম করন করা হয়। সরকারি ব্যবস্থাপনায় মসজিদটি পরিচালিত হয়।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদ পারভেজ বলেন,এখানে দান করলে বেশি সওয়াব হয় এবং মানত করলে পূর্ণ হয় মনোবাসনা। এমন বিশ্বাস থেকে এখানে প্রতিনিয়ত নগদ টাকা, গহনা, বৈদেশিক, গরু ছাগলসহ নানা সামগ্রী দান করে থাকেন নানা শ্রেণি-পেশা আর ধর্মের মানুষ।
মসজিদের প্রশাসনিক সংশ্লিষ্ট থেকে জানা যায়,  মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের খরচ চালিয়ে অবশিষ্ট টাকা জমা রাখা হয় ব্যাংকে। মসজিদের আয় থেকে জেলার বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসা ও এতিমখানার খরচ চলে।
মসজিদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. শওকত উদ্দিন ভূইয়া বলেন, বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই টাকা ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
গত বছর টাকার পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৩৫ লাখ ৭৬ হাজার ১৭৭ টাকা।
জনশ্র

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here