এলাহী শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছি আমরা। অনেকগুলো মেগা প্রকল্প চলমান রয়েছে। ৭১’র মুক্তিযুদ্ধের মুক্তাঞ্চল রৌমারীতে ৭০ হাজার মুক্তিযোদ্ধা প্রশিক্ষণ নিয়ে দেশ স্বাধীন করেছিল। মুক্তিযুদ্ধ পক্ষের সরকার ক্ষমতায় থাকায় আমার এলাকার মানুষ মনে করে এই সেতু শেখ হাসিনা সরকার ছাড়া অসম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ব্রহ্মপুত্র সেতু হলে উত্তরবঙ্গের রংপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, দিনাজপুর, নিলফামারী, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রামসহ কয়েকটি জেলার মানুষের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা হবে এবং যমুনা সেতুর উপড় চাপ কমে যাবে। এছাড়াও ভারতের আসাম-মেঘালয়ের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের টানজিট রুট হিসাবে ব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি হবে। কুড়িগ্রামবাসির ‘ব্রহ্মপুত্র সেতু চাই’ দাবির প্রেক্ষিতে মহান সংসদে এই দাবি উপস্থাপন করেছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমার এই দাবি আমলে নিয়ে আমার সাথে একান্ত কথা বলেছে। এখন ব্রহ্মপুত্রে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে।
রোববার (৭ নভেম্বর) সেতু মন্ত্রণালয়ে ডিও লিটার প্রেরণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দিনভর, রৌমারী উপজেলার ফলুয়ারচর, চিলমারী উপজেলার রমনাঘাট, বন গ্রামঘাট, উলিপুর উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের হবিগঞ্জঘাট এলাকায় সেতু নির্মাণে সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শন শেষে এসব কথা বলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন এমপি।
প্লানিং এন্ড ডেভলপমেন্ট বাংলাদেশ ব্রীজ অথরিটির পরিচালক ড. মনিরুজ্জামান (পিএনডি) পরিদর্শন শেষে বলেন, সেতু মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দিনভর ব্রহ্মপুত্রের বিভিন্ন পয়েন্ট সম্ভাব্য স্থানগুলো পরিদর্শন করেছি, রৌমারীর ঘুঘুমারী নৌকাঘাট হতে চিলমারীর ফকিরেরহাট নৌকাঘাট পর্যন্তসেতু নির্মাণে ব্যাপক প্রয়োজনীয়তা রয়েছে ও আমাদের অথরিটির কাছে প্রতিবেদন সাবমিট করবো। সমস্ত কার্যক্রম দ্রæত শেষ করে সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করা হবে।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, “বিবিএ মাষ্টার প্লান্ট” প্রজেক্টের ‘প্রজেক্ট ডিরেক্টর’ লিয়াকত হোসেন, বাংলাদেশ ব্রীজ কতৃপক্ষের ডেপুটি সেক্রেটারী মো. আবুল হাসান, রৌমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল্যাহ, রৌমারী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তানভীর ইসলাম, রৌমারী থানার ওসি মোন্তাছের বিল্লাহসহ অনেকেই।