মোঃফোরকান হোসেন
বাংলার রূপ,নিজস্ব প্রতিবেদক :
দেশের দক্ষিণের বিভাগীয় শহর বরিশালে চতুর্থ দিনের মতো কীর্তনখোলা নদীর জোয়ারের পানি নগরীর অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে। এতে তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাট। দুর্ভোগে পড়েন এসব এলাকার বাসিন্দারা।
শুক্রবার ২১ আগষ্ট বিকেলে জোয়ারের পানি বাড়লে কীর্তনখোলা নদী সংলগ্ন নগরীর নিম্নাঞ্চলে পানি প্রবেশ করে। এতে নগরীর সদর রোড,প্যারারা রোড,আগরপুর রোড, আমানতগঞ্জ, পলাশপুর, মোহাম্মদপুর, রসুলপুর, ভাটিখানা সহ বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। এসব এলাকার সড়ক, বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে কোথাও কোথাও হাঁটু পানিরও বেশি রয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চল জোনের পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী মো. হারুন-অর রশিদ জানান, বরিশাল বিভাগের ১২৫টি নদ-নদীর মধ্যে বেশীরভাগ নদ-নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। বিভাগের ১৫টি নদীর ১৭টি পয়েন্টে পানি পানির উচ্চতা পরিমাপ করে উন্নয়ন বোর্ড। এর মধ্যে ১৫টি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার উপরে রয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুসারে গত ২০ বছরের মধ্যে কীর্তনখোলা নদীর পানি গত বৃহস্পতিবার সর্বোচ্চ লেভেল অতিক্রম করে। এদিন কীর্তনখোলা নদীর পানির উচ্চতা ছিলো ৩.৭ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপদসীমার ৫২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে কীর্তনখোলার নদীর পানি প্রবাহিত হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানির অতিরিক্ত চাপের কারণে নদীর তীরবর্তী জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের সকল এলাকায় মানুষ বিপাকে পড়েছেন।