এলাহি শাহরিয়ার নাজিম
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রংপুর বিভাগের নদী মাতৃক অন্যতম জেলা কুড়িগ্রাম। কুড়িগ্রামে ৯টি উপজেলার মধ্যে রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলাও রয়েছে। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলা কুড়িগ্রামের আওতাধিন দু’টি উপজেলা হলেও জেলা শহর থেকে এই দুই উপজেলা ব্রহ্মপুত্র নদ দ্বারা বিচ্ছিন্ন। জেলা শহরে ঢুকতে হলে নদি পথে পাড়ি দিতে হয় নৌকা অথবা ট্রলারে করে প্রায় ৫০-৬০ কিলোমিটার। রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় কোন পর্যটন কেন্দ্র না থাকায় বিকেল বেলা শরিরে মুক্ত হাওয়া নিতে তুরা সড়কে ভীড় জমায় রৌমারী ও রাজিবপুর বাসী। দীর্ঘদিন থেকে তুরা সড়কে এই এলাকার মানুষের আনাগোনায় মুখরিত থাকলেও এখন মুখ থুবরে পড়ার উপক্রম রৌমারী এই সড়কটি।
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার ভারত বাংলাদেশের ঐতিহাসিক সড়কের প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটারের তুরা সড়কের দুপাশে ভেঙে যাচ্ছে। ত্রুটিপূর্ণ কাজ হওয়ায় পাহাড়ী ঢল ও বন্যার পানির প্রবল স্রোতে অর্ধশতাধিক খাদে পরিণত হয়েছে সড়কটিতে। এতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত চলাচল করছে রৌমারী উপজেলার পূর্ব এলাকার লোকজন ও প্রতিনিয়ত ঘটছে সড়ক দূর্ঘটনা। তুড়া সড়কের কাজ শেষে দ্বিতীয় বাড়ের বন্যায় সড়কটির কোন ক্ষয়ক্ষতি না হলেও তৃতীয় বাড়ের বন্যায় পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গেই চলছে সড়কটি। ফলে ঐতিহাসিক তুড়া সড়কটির হারিয়ে যাচ্ছে সৌন্দর্য্য।
স্থানীয় আব্দুল মতিন, শফিকুল ইসলাম, আবু সাইদসহ অনেকেই বলেন, সড়ক টি দ্রত সংস্কার না করা হলে, চর নতুনবন্দর, বামনেরচর, চান্দারচর,ব্যপারী পাড়া, চরবামোনেরচর, ফুলবাড়ী, নওদাপাড়া,ও খাটিয়ামারী গ্রামের প্রায় ৪০হাজার মানুষের স্থলবন্দরের সাথে সকল যোগাযোগ বন্ধ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
প্রসঙ্গত, ৩৩ কোটি টাকা ব্যয় সাড়ে ৪কিলোমিটার তুরা রাস্তা, ৩টি ব্রীজ ও ৩টি বক্সকালভার্ড নিমার্ণ করা হয়। বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের নির্বাচনী প্রতিশ্রতি অনুযায়ী ২০১৩-১৪ ইং অর্থ বছরে সংসদে ৩৩ কোটি টাকা একনেকে পাশ হয়। এর মধ্যে ২২ কোটি টাকা ব্যয় সাড়ে ৪ কিলোমিটার তুরা রাস্তা ও ৩টি বক্সকালভার্ড নির্মাণ করা হয়েছে। অপর দিকে ১১কোটি টাকা ব্যয় ৩টি ব্রীজ নির্মাণ করা হয়।

স্বাধীনতার পর থেকে জাতীয়পার্টি ও বিএনপি সরকার ক্ষমতায় থাকায় কুড়িগ্রাম জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল রৌমারী উপজেলার দিকে সুনজর না দিলেও বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনী প্রতিশ্রতি অনুযায়ী এ অঞ্চলে সুনজর দেন। এর আগে আওয়ামীলীগ থেকে মনোনয়ন নিয়ে জাকির হোসেন সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আশানুরুপ উন্নয়নে ঐতিহাসিক তুরা রাস্তা নির্মাণ করায় অত্র এলাকার জনমান উন্নয়ন হয়েছে যা চোখে পড়ার মতো।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আল ইমরান বলেন, গত বন্যা ও পাহাড়ী ঢলে তুরা সড়কের কোন ক্ষতি না হলেও। তৃতীয় বারের বন্যার পানিতে সড়ক টির দুই পাশের মাটি নিচে থেকে সড়ে গিয়ে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। তবে সড়কটিতে জিও ব্যাগ ফেলে সংস্কারের কাজ চলছে।