সোহেল খান দূর্জয়
নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
উজানের বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
বুধবার (১৮ মে) সকালে ধলাই নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এছাড়াও ধনু, কংশ ও মগড়া নদীর পানি বেড়েছে।
কংশ নদীর পানি সেতু পয়েন্টে ৩১ সেন্টিমিটার, ধনু নদীর পানি খালিয়াজুরীতে ৩০ সেন্টিমিটার এবং বিভিন্ন পয়েন্টে ৯০ সেন্টিমিটার বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলী এস এম সৈকত।
এদিকে নদ-নদীতে পানি বৃদ্ধির ফলে নিম্নাঞ্চলে বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করায় ফসলিজমিসহ বসতবাড়িতে পানি ওঠা শুরু করেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বোরো চাষিরা।
বুধবার সকালে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, ধনু নদী অববাহিকায় বিপদসীমার উপরে পানি ওঠায় বন্যার পানি ঢুকতে শুরু করেছে নিচু এলাকায়। বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবেশের ফলে নিম্নাঞ্চলে লাগানো বোরোধান, পাট ও বিভিন্ন শাকসবজির ক্ষেত তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।
এছাড়াও গ্রামের সড়কগুলোতে পানি ঢোকায় চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে।
বারহাট্টা উপজেলার চিরাম ইউনিয়নের বাদে চিরাম এলাকার বাসিন্দা আব্দুল কাদের জানান, রাত থেকে পানি বাড়তে শুরু করেছে। পানি বৃদ্ধি পেয়ে দুপুরে আবার স্থিতিশীল রয়েছে।
এই গ্রামের কৃষক রহমত আলী বলেন, ভাবছিলাম এবার বন্যা হবে না কিন্তু পানি যেভাবে বাড়ছে তাতে বোরো আবাদ মনে হয় বন্যায় খেয়ে যাবে। রাতে ঘুম হয় না, খুব দুশ্চিন্তায় আছি।
মোহনগঞ্জ উপজেলার সিয়াধার এলাকার পটলচাষী হায়বর আলী বলেন, পটলের শেষ আবাদটা পাইলাম না। তারমধ্যে রাত থেকে হু-হু করে পানি ঢোকা শুরু হয়েছে। এখন ধানের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে।
তবে এবার বন্যা হওয়ায় চাষিদের তেমন সবজির কোনো ক্ষতি হয়নি। ভালোই লাভ পেয়েছেন তবে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক।
নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম সৈকত জানান, ধনু,কংশ, ধলাই নদীর পানি কিছুটা বাড়েছে। তবে ধলাই নদীর পানি কিছুটা স্থিতিশীল রয়েছে।