খোকন হাওলাদার,
বরিশাল প্রতিনিধিঃ
নিষেধাজ্ঞা শেষে বাজারে ইলিশের আমদানি শুরু হলেও অধিকাংশ ইলিশের পেটে ডিম পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা।
বাজার থেকে যেসব ক্রেতা ইলিশ মাছ কিনছেন এর প্রতিটিতেই ডিম পাওয়া যাচ্ছে । ইলিশ বিক্রেতা জানান, গত কয়েকবছর ধরে নিষেধাজ্ঞার উঠে যাওয়ার পর পর বেশ কিছুদিন বাজারে ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যায়।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ইলিশ) বিমল চন্দ্র দাস বলেন, বর্তমান সময়টাই এমন যে ইলিশ মাছ ডিম ছেড়ে আবার সাগরে চলে গেছে, আর কিছু মাছ যারা এখনও ডিম ছাড়েনি তারা নদীতে রয়েছে।
অর্থাৎ নদীতে যে মাছ রয়েছে তাতে ডিম থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া সারাবছরই কম-বেশি ডিমওয়ালা ইলিশ পাওয়া যায়। তবে বর্তমানে যে আবহাওয়া বিরাজ করছে তাতে সব ইলিশই নদীতে ডিম ছেড়ে দিবে।
তিনি আরও বলেন, যে পরিমান মাছের সঠিকভাবে ডিম দেওয়ার কথা ছিল, আমরা আশাকরি সে পরিমান মাছ ডিম দিয়েছে। মূলত চারটি অমাবস্যা-পূর্ণিমাতে বেশি পরিমানে ইলিশ ডিম দেয়, সেই সময়টা আমরা কভার করেছি। ফলে এখন যে ডিমওয়ালা মাছ পাওয়া যাচ্ছে তাতে উৎপাদনের ওপর কোন প্রভাব ফেলবে না।
মৎস্য কর্মকর্তা বলেন, বর্তমানে যে আবহাওয়া রয়েছে তাতে নদী ও সাগরে ইলিশ পাওয়ার কথা। আর আসন্ন কালীপূজার সময় জো রয়েছে তখন আরও প্রচুর মাছ ধরা পরবে।
অপরদিকে জাটকার বিষয়ে জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আসাদুজ্জামান বলেন, নভেম্বর থেকে জুন মাস পর্যন্ত জাটকা ধরার ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কার্যক্রম কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে। ফলে ইলিশের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কোন ঘাটতি থাকবে না।