নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে জনবসতি এলাকায় অবাধে চালিয়ে যাচ্ছে অবৈধ কেমিক্যাল ব্যবসা।।

0
76

All-focus

 

সোহান আহমেদ (সানাউল),সাভার, ঢাকা।।

 

ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় মোঃ মতিউর রহমান চৌধুরীর মালিকানাধীন নোভেল কেমিক্যালস নামের সাইনবোর্ড বিহীন একটি কারখানা অনুমোদন ছাড়াই  বহুদিন ধরে অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, এভাবে জনবসতিপূর্ণ এলাকায় কেমিক্যাল কারখানা চলায় দূর্গন্ধ এবং বিষাক্ত বাতাসে তাদের বসবাস করতে সমস্যা হচ্ছে।

 

 

সরেজমিন কারখানায় গেলে জানা যায়, এখানে ব্যাটারির কেমিক্যাল, ব্যাটারীর পানি, সালফিউরিক এসিড, এলাম (ফিটকারি), ফেরাস সালফেট উৎপাদন করা হয়। কারখানায় কর্মরত শ্রমিকদের পায়ে গামবুট পরিধান করতে দেখা গেলেও তাদের খালি হাতে এবং ‘মাস্ক’ ব্যবহার ছাড়াই বিভিন্ন রাসায়নিক কাঁচামাল নিয়ে কাজ করতে দেখা যায়।

 

 

কারখানার পাশে বসবাসকারি স্থানীয় আদম আলী শেখ জানান, এই কারখানা এখানে বানানোর ফলে এর প্রচন্ড দুর্গন্ধে আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছি। আমাদের বাচ্চাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। আর রাস্তার পাশেই হওয়ায় এই জায়গা দিয়ে এলাকার হাজার হাজার লোকজনসহ ছাত্রছাত্রীরা যাতায়াত করে, এরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

 

 

তিনি আরও অভিযোগ করেন, আশুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহাবউদ্দিন মাদবরের কাছে বিষয়টি জানালে তিনি কারখানার মালিককে বিষয়টির সুরাহা করতে বলেন। তখন কয়েকদিন গন্ধ দূর করার মেডিসিন দিলেও এখন আর দেয় না, ফলে আমাদের সমস্যা কোনভাবেই দূর করা সম্ভব হচ্ছে না।

 

 

কারখানা সংলগ্ন এক চায়ের দোকানদার মজিবুর রহমান জানান, দূর্গন্ধের কারনে আমার দোকানে কোনো কাস্টোমার ৫ মিনিটও বসতে পারে না, তাহলে এখানে যারা বাস করে তাদের কি অবস্থা?

 

এই প্রতিবেদকের নিকট দুইজন কোমলমতি  স্কুল ছাত্র জানায়, তারা এই পথ দিয়ে স্কুলে যাতায়াতের সময় শ্বাসকষ্টে ভোগে, অনেকসময় বমিও চলে আসে, এমনকি পাশেই রয়েছে একটি মসজিদ এই মসজিদে নামাজ পরতে এলে আমাদের নিস্বাস বন্ধ হয়ে যায় প্রায়  বলে জানায়।

 

এব্যাপারে মুঠোফোনে নোভেল কেমিক্যালস এর মালিক মোঃ মতিউর রহমান চৌধুরীর নিকট স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আশুলিয়ার ম্যাজিস্ট্রেট তো কারখানা দেখে গেছেন, তিনি তো কিছু বলেন নাই?

 

পরে আশুলিয়া রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ এর মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই কারখানাটিতে আমি এবং পরিবেশ অধিদপ্তর এর সহকারী পরিচালক পরিদর্শন করে এসেছি এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকায় কারখানাটিকে জরিমানা করা হয়।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here