আমিরুল ইসলাম,
শেরপুর প্রতিনিধি :
শেরপুরের নালিতাবাড়ীর বাঘবেড় ইউনিয়নের এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে দরজা ভেঙ্গে তিন সন্তানের জননীর ঘরে ওঠার বিষয় নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ইউপি সদস্য আবুল হাশেম ওই নারীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছে বলে থানায় একটি অভিযোগ হয়েছে।
অভিযোগকারী ভিকটিম ও এলাকাবাসী জানায়, নালিতাবাড়ী উপজেলার বাঘবেড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল হাশেম তার পার্শ্ববর্তি বাড়ি বাঘবেড় খরিয়াপাড়া গ্রামের অটোরিকসা চালক চান মিয়ার স্ত্রীকে এক বৎসর ধরে কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছে। গত ১৫ জানুয়ারি রাতে ওই নারী সন্তানদের নিয়ে তার বসতঘরে শুয়ে ছিলো। রাতের আঁধারে আবুল হাশেম মেম্বার তার ঘরের দরজায় নক করে এবং দরজা খুলতে বলে। এতে অটোচালকের স্ত্রী রাজি না হওয়ায় হাশেম দরজার খিল ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। ভিকটিম ও তার সন্তানদের চিৎকার আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে হাশেম মেম্বার পালিয়ে যায় বলে ভিকটিম জানায়। এদিকে এলাকাবাসী এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মেম্বার আবুল হাশেম এর মাদক ব্যবসার পূর্বের ঘটনাগুলোও সাংবাদিকদের কাছে বর্ণনা করছেন অনায়াসে।
এ ব্যাপারে রাতেই ওই নারী ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সবুরকে অবহিত করে। গত ১৭ জানুয়ারি চান মিয়ার স্ত্রী (ভিকটিম) বাদী হয়ে নালিতাবাড়ী থানায় ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ এর ৯ (৪) (খ) ধারায় ধর্ষনের চেষ্টা অপরাধে মামলা দায়ের করেছে।
এবিষয়ে মেম্বার আবুল হাশেম বলেন, চান মিয়া তার স্ত্রীকে নালিতাবাড়ীর একটি জুয়েলারী দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা বাকীতে স্বর্ণের অলংকার বানিয়ে দেয়। ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী বাকী টাকার জন্য চান মিয়াকে চাপ দেয়। অবশেষে চান মিয়ার ওই বাকী টাকার নিশ্চয়তা দানকারী হিসেবে দায়িত্ব নেন আবুল হাশেম। আবুল হাশেম ওই রাতে সেই টাকার জন্য চাঁন মিয়ার বাড়িতে গেলে এমন মিথ্যে ঘটনার উদ্ভব হয় বলে তিনি জানান।