নারায়ণগঞ্জে প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যেও লকডাউন ভেঙে অবাধে ঘোরাফেরা করছে মানুষ।

0
11

বাংলার রূপ,নিজস্ব প্রতিবেদক।।

দেশের করোনা আক্রান্তদের মধ‌্যে দ্বিতিয় সর্বচ্চো নারায়ণগঞ্জ জেলায় তবুও মানা হচ্ছে না সামাজিক দূরত্বের বিধি। প্রশাসনের কঠোর নজরদারির মধ্যেও লকডাউন ভেঙে অবাধে ঘোরাফেরা করছে মানুষ। পাড়া মহল্লাগুলোতেও জমছে আড্ডা। প্রয়োজনে আরো কঠোর হওয়ার কথা বলছে পুলিশ।

মহামারি করোনাভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনের এগারতম দিন চলছে নারায়ণগঞ্জে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও লকডাউন বাস্তবায়ন মাঠে রয়েছে পুলিশ, র‌্যাব ও সেনাবাহিনী। তারপরেও মানুষের মধ্যে লকডাউন ভঙ্গ করার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। রাতের আাঁধারে শ্রমজীবী মানুষ দলে দলে জেলা থেকে বহির্গমনের চেষ্টাও করছেন। চাষাঢ়াসহ শহরের বিভিন্ন চেকপয়েন্টে অবাধে চলছে ছোট বড় বিভিন্ন ধরণের যানবাহন। এতে করোনা ভাইরাস ভয়াবহভাবে বিস্তার লাভের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে প্রয়োজনের তাগিদেই বাইরে বের হওয়ার দাবি অনেকের।

একজন বলেন, অফিসের কাজে বের হয়েছি। আরেকজন বলেন, মোবাইল ব্যাংকিংয়ের টাকা নেয়ার জন্যে বের হয়েছি।

অন‌্যদিকে বিকেএমই কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের বেতন পরিশোধের নির্দেশ দিলেও তা মানছেন না বেশিরভাগ কারখানা মালিক। জেলার অধিকাংশ কারাখানাগুলোতেই কয়েক মাসের বেতন পাননি শ্রমিকরা। এতে মানবেতর দিন কাটছে তাদের। করোনার ভয় উপেক্ষা করেই পেটের তাগিদে, বেতনের দাবিতে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ ও মিছিল করছেন শ্রমিকরা।

বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মাহাবুবুর রহমান ইসমাঈল বলেন, সরকারি কোন ত্রাণ তহবিলের খোঁজ মেলেনি। শ্রমিকরা এখন দিশেহারা।  করোনার আগেই মালিক তিন মাসের বেতন না দিয়ে কারখানায় তালাবন্ধ করে দিয়েছে।

শ্রমিকরা বলেন, আমাদের বেতন দেয়নি। বাধ্য হয়ে আমরা রাস্তায় নেমেছি।

তবে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বে নিশ্চিতে প্রয়োজনে আরো কঠোর অবস্থানে যাবার কথা জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।

ট্রাফিক ইন্সপেক্টর এস এম জিয়াউল হায়দার বলেন, সর্বাত্মক চেষ্টা করছি লোকজনদের বুঝিয়ে ঘরে রাখার জন্যে। মানুষদের সচেতন হওয়ার দরকার আছে।

নারায়ণগঞ্জে গত ১৯ দিনে করোনা ভাইরাসে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন তিন শতাধিক। এছাড়া করোনার উপসর্গ নিয়ে অন্তত আরো অর্ধশতাধিক মানুষের মৃত্যু হলেও তাদের নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হয়নি।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here