মোঃ সিরাজুল ইসলাম (স্টাফ রিপোর্টার)
ঢাকার ধামরাইয়ে অপরিকল্পিত খাল খননের ফলে একটি কাঁচা রাস্তা ভেঙে গিয়েছে এবং কয়েকটি বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের গাফিলতির কারনে খাল খননে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে বলে স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের অভিযোগ।
জানা গেছে গত জানুয়ারি মাসে ঢাকা জেলা প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে ২৪ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে উপজেলার সুয়াপুর গাজী খালী নদী থেকে ভুবন নগর পর্যন্ত খাল খননের কাজ পান সাজ্জাদ হোসেন নামের এক ঠিকাদার। তার সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ করেন সুয়াপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ কফিলউদ্দিন এর ছেলে অবস্বর প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম।
সুয়াপুর বাজার হতে গোপীনাথপুর পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা সহ পাশ দিয়ে রয়েছে বেশ কিছু বাড়িঘর। আজিজুল হক ওরফে আইনজা, মনুমিস্ত্রিসহ কয়েকজনের বসতবাড়ি আংশিক ভেঙে পড়ে। এ ছাড়া অন্যান্য বসতবাড়িও হুমকির মুখে পড়েছে।
স্থানীয় ব্যক্তিরা জানান সুয়াপুর বাজারের দক্ষিণ পাশে খালের উপর সেতুর নিচে বাঁধ দিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে গহীন ভাবে মাটি কাটেন ঠিকাদার পক্ষ। খাল অতিরিক্ত গভীর করায় প্রবল বৃষ্টিতে প্রায় এক কিলো কাঁচা রাস্তা ভেঙে যায়। এবং প্রায় শতাধিক বাড়ি ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে। তারা আরও অভিযোগ করেন খাল অতিরিক্ত গভীর করে মাটি কেটে সেই মাঠি বিক্রি করে নিজেরদের স্বার্থ হাসিল করেছেন ঠিকাদার পক্ষ। তারা ঠিক মতো ঢালু রাখে নাই শুধু গভীর করছে ফলে এখন আমাদের বাড়ি ঘর ভেঙে পড়ার আশঙ্কায় রয়েছে।
এতে ঐ রাস্তাটি চলার অনউপযোগী হয়ে পরেছে, রিকশা-ভ্যান চলাচলও বন্ধ হয়ে যায়। এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। স্থানীয়দের দাবি অতি তারাতারী যেনো খালের ভাঙন রোধে ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়। এব্যাপারে ধামরাই উপজেলা পকল্প কর্মকর্তা মোঃ মমিনুল হক বলেন এই রাস্তাটি ব্যাপারে আমি কিছুই জানিনা তবে শুনেছি আগামী সপ্তাহে আমি ওখানে যাব, রাস্তার পরিস্থিতি দেখে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।