ধামরাইয়ে ব্রীজের রড কেটে ভাঙারি দোকানে বিক্রির অভিযোগ।

0
98

 

মোঃ সিরাজুল ইসলাম ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি” ঢাকার ধামরাইয়ে সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকুল এলাকার গাজীখালী নদীর উপরের ব্রীজের রেলিং ভেঙে রড খুলে বিক্রয়ের অভিযোগ উঠেছে আওলাদ হোসেন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুকে) এলাকাবাসীর কিছু বক্তব্য এই বিষয় নিয়ে ভাইরাল হয়েছে। “আওলাদ হোসেন উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকুল গ্রামের আব্দুল লতিফ হোসেন এর ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের শিয়ালকুল এলাকার গাজীখালী নদীর উপরের ব্রিজের রেলিং এর অংশ থেকে রড কেটে তা বিক্রি করছেন একটি চক্র। রাতের আঁধারে এভাবে ব্রিজের বিভিন্ন অংশ ভেঙে রড বের করে নিয়ে গেলেও ওই চক্রটি ছিল ধরাছোঁয়ার বাহিরে। সর্বশেষ এ ব্রিজের থেকে কেটে নেওয়া রড সুয়াপুর চরদেলধা মোড়ে একটি ভাঙারি দোকানে বিক্রয় করলে তা মুহূর্তের মধ্যে জানাজানি হয়। এবং বিক্রয়ের সাথে জড়িত আওলাদ হোসেন এর নাম বেড়িয়ে আসে। ভাঙারি দোকানদার চাঁন মিয়া বলেন, আমার দোকানে রড বিক্রির জন্য নিয়ে আসে রবিউল নামে একজন। সে বলে আওলাদ হোসেন এই রড পাঠিয়েছে রড মাপ দিয়ে রেখে দেন। আমি সেলুনে থাকা অবস্থায় আমার কর্মচারী দিয়ে ওজন দেই, ২১ কেজি রড হয় বলে জানায় আমার কর্মচারী। পরে রড রেখে ৯৬০ টাকা দিয়ে দেই। তবে এ রডগুলো যে ব্রিজ ভেঙে সংগ্রহ করা হয়েছে তা আমি জানতাম না। লোক জানাজানি হলে স্থানীয় মেম্বার এসে রড আওলাদ হোসেন এর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এবিষয়ে আওলাদ হোসেন বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা চলছে, নিজেদের লোক দিয়ে রড বিক্রয় করে আমার নাম প্রচার করা হচ্ছে। এ বিষয়ে ইউপি সদস্য আঃ মোতালেব বলেন,শুনেছি আওলাদ হোসেন রড চুরি করে বিক্রয় করেছে,পরে আমরা আওলাদ কে জিজ্ঞাস করলে সে আমাদের কাছে এই ঘটনা শিকার করেছে।। এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, একটি ব্রিজের র‍েলিং এর রড বিক্রি করার অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে,তদন্তের প্রতিবেদন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ পাইনি, অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।