ধামরাইয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ,ও কেন্দ্র ভাঙচুর।

0
17
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
ধামরাই (ঢাকা)প্রতিনিধিঃ
ধামরাইয়ের কয়েকটি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থীর কর্মীদের হামলা ও হুমকির ঘটনা ঘটেছে। প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) ধামরাই উপজেলার সুয়াপুর ইউনিয়নের সূয়াপুর বাজারে ব্যবসায়ীদের কাছে নৌকা প্রতিকে ও  চশমা প্রতিকের ভোট চাওয়ার সময়, স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাবের উপস্থিতিতে দুই পক্ষের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ হামলায় আহতদের ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা হলো সাবেক সেনা কর্মকর্তা আব্দুল হালিম, মমিন মিয়া, দেলোয়ার হোসেন,বাবু মিয়া, হৃদয় হাসান,নাহিদ আলী,রবিন হোসেন, বর্তমান চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান সোহরাব, সাগর হোসেন, পলাশ মিয়া,রাসেল হোসেন, সাকিমুদ্দিন সহ ১৫/২০ জন।
গত শুক্রবার সন্ধ্যায় ভাড়ারিয়া ইউনিয়নের কাকরান বাজারে চশমা প্রতীকের প্রার্থী মোসলেম উদ্দিন মাসুমের কর্মীদের ভোট চাওয়ায় বাধার সৃষ্টি করে এবং নৌকা প্রতীকের বিপক্ষে ভোট চাইলে হাত পা কেটে ফেলার হুমকি দেয়।
চমমা প্রতীকের কর্মীরা জানান, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শাহ আলমের ভাড়া করা লোকজন কাকরান বাজারে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শুধু তাই নয়, পাইকপাড়া এলাকায় চশমা প্রতীকের নারী কর্মী রাবেয়ার গায়ে হাত পর্যন্ত দিয়েছে শাহ আলমের কর্মী মীর আসিফ ও ইসরাফিল। আতঙ্ক বিরাজ করছে চশমা প্রতীকের লোকজন।
চশমা প্রতীকের প্রার্থী ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী সহ- সভাপতি মোসলেম উদ্দিন মাসুম বলেন, আমি ও আমার কর্মীরা হুমকির মুখে রয়েছি।যে কোন সময় শাহ আলমের লোকজন ক্ষতি করতে পারে। আমার প্রায় কেন্দ্র গুলো রয়েছে ঝুঁকির মধ্যে। গতকার ধামরাইয়ের বাইরে থেকে ভাড়া করা লোকজন আমাদের হুমকি দিচ্ছে। আমিও আওয়ামী লীগের এক কর্মী।ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের সাথে আসি, থাকবো।এখনো ভাড়ারিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির দ্বায়িত্ব পালন করছি। ভোটাররা যদি ঠিক মতো ভোট দিতে পারে আমি জয়ী হবো।
এছাড়াও নান্নার ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী আলতাফ হোসেনের কয়েকটি কেন্দ্র ভাঙচুর করেছেন নৌকা প্রতীকের লোকজন, নান্নার ইউনিয়নে আতংক বিরাজ করছে,  এবং সোমভাগ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থী আজাহার আলী ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আনারসের প্রতীক আওলাদ হোসেনের লোকজনের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। উভয় পক্ষই পাল্টাপাল্টি মামলাও করেন।দুই প্রার্থীর ১ জন করে কর্মীকে গ্রেফতার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। বালিয়া ইউনিয়নেও মারধর ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যপারে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন, আমরা দু একটি জায়গার ঘটনার অভিযোগ পেয়েছি।অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু হবে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here