মো:রবিউল রনি ,
বাংলার রূপ,টঙ্গাইল প্রতিনিধি।
ধান কাটতে গিয়ে যে কৃষক বজ্রপাতে মারা যাবেন তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে কমপক্ষে এক লাখ টাকা করে সাহায্য দেয়া হবে। শনিবার (২ মে) টাঙ্গাইলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও করণীয় বিষয়ে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক।
মন্ত্রী বলেন, ধান কাটতে গিয়ে চলতি মৌসুমে বজ্রপাতে ২২জন কৃষি শ্রমিক মারা গেছেন। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে এবং আরো যদি মারা যায় তাদের পরিবারকেও কমপক্ষে এক লাখ টাকা করে সাহায্য দেয়া হবে।
বিশ্ব খাদ্য সংস্থা (ডব্লিউএফপি) করোনার কারণে বিশ্বের তিন কোটি মানুষের অনাহারে মৃত্যু হতে পারে বলে যে আশঙ্কা করছে, তার প্রভাব বাংলাদেশে পড়তে পারে কিনা সাংবাদিকদের এমন এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এবার বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে ,এখনও জমিতে যে ফসল আছে তা যদি সঠিকভাবে ঘরে তোলা যায়, তবে আগামী ৭-৮ মাসের মধ্যে খাদ্যের কোনো ঘাটতি হবে না, বরং কিছু খাদ্য উদ্বৃত্ত থাকতে পারে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমানের কৃষি উৎপাদন ধারা অব্যাহত রাখতে এবং উৎপাদন বাড়াতে ভবিষ্যতের ফসলের ওপর অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। আউশের জন্য বীজ ও সার প্রভৃতি প্রণোদনা বিনামূল্যে সারাদেশে কৃষকের কাছে সরবরাহ করা হয়েছে। গ্রীষ্মকালীন শাকসবজির জন্যও প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, ইতোমধ্যে ৫ হাজার কোটি টাকার ৪% সুদে ঋণ প্রণোদনা ঘোষণা দেয়া হয়েছে। এর সাথে কৃষিখাতে ৯ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। পাশাপাশি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সার্বিক কৃষিখাতের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ১৪ হাজার ৫শ কোটি টাকার কৃষি ঋণ ৯% সুদের স্থলে মাত্র ৪% সুদে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এসব প্রণোদনা বিতরণে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হলে সে যেই হোক না কেন তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্থানীয় সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খান, তানভীর হাসান ছোট মনির, মো. ছানোয়ার হোসেন, টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর, টাঙ্গাইল জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান খান ফারুক, টাঙ্গাইল পৌরসভার মেয়র জামিলুর রহমান মিরন, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াহীদুজ্জামান, পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় (বিপিএম), কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আব্দুর রাজ্জাকসহ জেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে টাঙ্গাইলে করোনা প্রতিরোধ ও সীমিত পর্যায়ে রাখা এবং সরকারি গাইডলাইন মেনে দরিদ্র ও অসহায় মানুষের মাঝে সঠিক ও সুষ্ঠুভাবে ত্রাণ বিতরণ নিয়ে আলোচনা করা হয়।