প্রতি কিলো নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি,১৬ মাসেই ভেঙেছে দুইবার।

0
9

প্রতি কিলোমিটার সড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি টাকা তবে ১৬ মাসেই রাস্তাটি ভেঙেছে দুইবার।বলছি রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার কথা।তবে সড়ক বিভাগ এইজন্য দায়ী করেছেন রাস্তা ব্যবহারকারীদের। আর স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন নিম্নমানের কাজের ও সড়ক বিভাগকে।

২০১৮ সালে রাজবাড়ীর শ্রীপুর থেকে চর- লক্ষীপুর পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য ৬০ কোটি টাকা ব‍্যয়ে কাজ শুরু হয়।কাজটি দেড় বছরে শেষ করার কথা ছিল।কিন্তু বিভিন্ন অজুহাতে প্রায় ৪ বছর পরে ২০২২ সালের জুনে কাজ শেষ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।

তবে কাজ হস্তান্তরের কিছুদিনের মধ্যেই শহরের বড়পুল থেকে শ্রীপুর পর্যন্ত নতুন সড়কের অনেক জায়গা ডেবে গিয়ে ভাঙ্গতে শুরু করে।ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুক্তি অনুযায়ী ভাঙ্গা রাস্তা মেরামত করে । সপ্তাহ খানেক আগে আবারো বেশ কিছু স্থানে একই ভাবে ভাঙতে থাকে সড়কটি। পুনরায় মেরামত করছে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।তবে একটি আঞ্চলিক মহাসড়কের এই বেহাল অবস্থার কারনে স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভ জেগেছে।তারা অভিযোগ করছেন নিম্নমানের কাজের জন্য সদ্য নির্মিত সড়কের এমন বেহাল দশায়।

রাজবাড়ী পৌর এলাকার বাসিন্দা বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। সড়কটি নির্মাণের সময় থেকেই ভাঙতে শুরু করেছে। এখনো মাঝে মাঝেই ভেঙে যায়। আবার তা মেরামত করা হয়। ‘ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নিম্নমানের কাজ করার কারণে সড়কের এই বেহাল দশা। কয়েকদিন পরপরই সড়কটি ভেঙে যাওয়ায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এত ব‍্যায়বহুল সড়কের এই দশা হয়েছে নির্মাণের ১৬ মাসের মধ্যেই। এগুলো দেখার কেউ নেই।

এ নিয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে কেউ কথা বলতে রাজি হননি।

এ ব‍্যাপারে রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী তুষার আহমেদ বলেন, ‘অপরিকল্পিত ব্যবহার ও অননুমোদিত বাস স্ট্যান্ডের কারণে সড়কটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রকল্প শেষ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে প্রাকৃতিক কারণ ছাড়া ত্রুটি দেখা দিলে তা সংস্কারের দায়িত্ব ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের। সেটিই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান করেছে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here