মোঃসোহান আহমেদ সানাউল
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট পরিদর্শন করেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব জাহিদ মালেক। রোববার ৫ ডিসেম্বর সাভারে নির্মাণাধীন ইন্সটিটিউট অব হেলথ কমপ্লেক্স পরিদর্শনকাল আরও উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মনানীয় প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ডা.মো.এনামুর রহমান। মান্যবর সিনিয়র সচিব জনাব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যান মন্ত্রণালয়। অধ্যাপক ডা.আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশিদ আলম,মহাপরিচালক,স্বাস্হ্য অধিদপ্তর।জনাব মোঃ সাইদুর রহমান,অতিরিক্ত সচিব ( উন্নয়ন অনুবিভাগ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।জনাব সাবিনা ইয়াসমিন,অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন অনুবিভাগ), স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ।জনাব মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা,অতিরিক্ত মহাপরিচালক( পরিকল্পনা ও উন্নয়ন)।ডা.মো.বেলাল হোসেন,পরিচালক (স্বাস্থ্য), ঢাকা বিভাগ।ডা.আবু হোসেন মো.মঈনুল আহসান,সিভিল সার্জন, ঢাকা।জনাব আব্দুল গনি,মেয়র সাভার পৌরসভা। জনাব মাজহারুল ইসলাম,উপজেলা নির্বাহী অফিসার,সাভার,ঢাকা ।সাভার উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.সায়মুল হুদা।জনাব মাঈনুল ইসলাম (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (সাভার মডেল থানা, সহ ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ,মিডিয়ার সম্মানিত সাংবাদিকবৃন্দ।
পরিদর্শনকালীন সময় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালায়ের মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সাভার এর হাসপাতাল কর্মকান্ড এবং কোভিড-১৯ টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেন। এই সময় মাননীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,সাভার এর বহি:বিভাগ, অন্তঃবিভাগের রোগীর উপস্থিতি এবং সেবার মানে সন্তোষ প্রকাশ করেন।এছারা দ্রুত সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে রুপান্তরিত করা,কোভিড-১৯ টিকা কেন্দ্রটি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত করার মাধ্যমে দ্রুতই ফাইজার টিকা প্রদানসহ ডাক্তার ও অন্যান্য স্টাফদের আবাসন সমস্যা দূর করে আধুনিক ও বহুতল ভবন নির্মান করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।
এসময় দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন,করোনার নতুন ধরন ওমিক্রন মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলা ও বিভাগীয় শহরের হাসপাতালসহ রাজধানীর হাসপাতাল ও আইসিইউ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।তবে দেশে এখোনো এমন কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি যে লকডাউনে যেতে হবে।
প্রবাসীদের উদেশ্য করে মন্ত্রী বলেন, যেসব দেশ গুলোতে ওমিক্রনের সংক্রমণ বেশি সেসব দেশের প্রবাসীরা আপাতত দেশে না ফেরাটাই ভালো।তবে যারা আসবেন তাঁদের ৪৮ ঘণ্টা আগে পরীক্ষা করে আসতে হবে। দেশে ফেরার পর ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে। এ জন্য রাজধানীর বেশ কিছু হাসপাতালকে কোয়ারেন্টিন সেন্টার করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে বিদেশ থেকে আসা প্রবাসীরা নিজ খরচে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে থাকতে পারেন।
মন্ত্রী আরও বলেন,ওমিক্রনকে প্রতিরোধ করতে হলে টিকা নিতে হবে। এ জন্য টিকা কর্মসূচি আরো বেগবান করা হয়েছে। প্রথম ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে ৭ কোটি আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে প্রায় ৪ কোটি। এ ছাড়া ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। জনবল বাড়াতে ইতিমধ্যে সাড়ে ৮ হাজার নার্স ও ৪ হাজার চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
ওমিক্রন ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ করা হবে কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন,আপতত সীমান্ত বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা নেই। দেশ ভালো আছে, নিরাপদে আছে।