বাংলার রুপ,নিউজ ডেস্ক॥
শুধু চলতি মাসেই নয়, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের জন্য কঠিন সময় অপেক্ষা করছে আসছে পুরো মে মাসেই। এই অবস্থায় কঠোর লকডাউন নিশ্চিত করার পাশাপাশি নিশ্চিত করতে হবে গৃহবন্দী মানুষগুলোর তিন বেলা আহার। এদিকে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম ফ্রেমবন্দী করতে কাজ চলছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
করোনার দিনগুলোতে কেমন আছে বাংলাদেশ। টানা চতুর্থ দফায় বেড়েছে ছুটি। লকডাউন চলছে বিশেষ বিশেষ এলাকায়। অলিগলিতে কিছুটা ঢিলেঢালা ভাব হলেও ফাঁকা এখন রাজপথ।দেশের অধিকাংশ জেলাতেই পাওয়া যাচ্ছে করোনা আক্রান্ত রোগী।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির চতুর্থ পর্যায়ে বাংলদেশ। সামনে অপেক্ষা করেছ আরো কঠিন সময়।
এ ব্যাপারে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বে-নজির আহমেদ বলেন, এই অবস্থা আরও এক মাস চলতে থাকবে। এপ্রিলের পর মে মাসেরও কিছু দিন যাবে।
তারা বলছেন কোভিড ১৯ নিয়ন্ত্রনের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক সচেতনতা সবচেয়ে জরুরি। আর অন্তত খাবারের জন্য মানুষকে যেনো রাস্তার বের না হতে হয় সে বিষয়টিও রাষ্ট্রকেই নিশ্চিত করার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেশজ্ঞরা।
জাতিসংঘের এইচআইভি বিভাগের বৈশ্বিক সমন্বয়ক ড. মনিকা বেগ বলেন, আমাদের টেস্টিং বাড়াতে হবে। যারা সংস্পর্শে এসেছে তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে নিতে হবে।
ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি অল্প সময়ের মধ্যে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার কথা বলছেন কর্তৃপক্ষ।
ড. মনিকা বেগ বলেন, যারা দিন আনে দিন খায় এবং যারা দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত তাদের বাড়িতে খাবার পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
দেশে প্রথম ৮ মার্চ করোনা শনক্ত হওয়ার কথা নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১,৮৩৮ জন; মৃত্যু হয়েছে ৭৫ জনের,আর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরছেন ৫৮ জন।