ডেস্ক রিপোর্ট।
সড়ক আইন ২০১৮ এর নীতিমালা বাস্তবায়নের পর গত চারদিন ধরে দেশের দক্ষিণঅঞ্চলে ১৪ জেলায় ছিল যাত্রীবাহি বাস ধর্মঘট। সেটি গতকাল মঙ্গলবার থেকে ছড়িয়ে দেশের ২০ জেলায় পালন করা হচ্ছিল। তবে এই কর্মবিরতি ছিল শুধু যাত্রীবাহী বাসের ক্ষেত্রে। আজ বুধবার (২০ নভেম্বর) থেকে এর সাথে যুক্ত হয়েছে সারা দেশের পণ্য পরিবহন শ্রমিকরা।
আর এই পরিবহন ধর্মঘটের কারণে সাড়া দেশের মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় পড়েছেন চরম বিপাকে।
একদিকে পণ্য পরিবহন শ্রমিকদের কারণে বাজারে পণ্য সরবরাহ কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে । যার কারণে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সাধারণ জনগণের মধ্যে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী বাসের ধর্মঘটের কারণে মানুষের সব ধরনের কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।পাশাপাশি কিছু কিছু যাত্রীরা অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে পৌঁছাতে হচ্ছে গন্তব্যস্থলে।
দেশের রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ১২ টি জেলা বাদে,বাকি প্রায় ৫৬ টি জেলাতেই যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।আবার কোথাও কোথাও দেখা গেছে কিছুকিছু পরিবহন চলতে গেলে পড়তে হচ্ছে নানা ধরনের বিপদের মুখে, আটকে দিচ্ছেন পরিবহন শ্রমিকরা।
আজ বুধবার সকাল থেকেই দেখা গেছে দেশের প্রদান প্রদান সড়কগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের অবস্থান যেমন ঢাকা -সিলেট,ঢাকা-চট্টগ্রাম ,দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীদের ঢাকা মাওয়া ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, এবং উত্তরবঙ্গের প্রধান সড়ক সিরাজগঞ্জে পরিবহন শ্রমিকরা অবস্থান নিয়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। এছাড়া অনেক জায়গায় দেখা গেছে বড় বড় গাড়ি হাম মহাসড়কের উপর দাঁড় করিয়ে রেখে যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে।
এই ঘটনায় মালিক সমিতির লোকদের সাথে কথা বললে তারা জানান,মূলত শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এই ধর্মঘট পালন করা হচ্ছে।এখানে মালিকপক্ষের কারো কিছু করার নেই।
জানা যায়,পরিবহন ধর্মঘট এর ইস্যু নিয়ে গতকাল রাতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এর বাসায় পরিবহন শ্রমিকদের সাথে একটি বৈঠক করেন। তবে বৈঠকে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি এ সময়।পরিবহন নেতারা পণ্যবাহী যান চলাচল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত কোন পরিবর্তন করেননি।এসময় আরো জানা যায় একই ইস্যু নিয়ে আজ সন্ধ্যায় আবার নতুন করে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে।
গতকাল তেজগাঁওয়ের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের একটি সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়। এতে সম্মেলন পরিষদের আহ্বায়ক রুস্তম আলী খান সাংবাদিকদের জানান, নতুন আইন সংশোধনসহ নয়টি দাবিতে আগামীকাল যা আজকে বুধবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয়।এবং শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করছে।
এ ব্যাপারে আজ বুধবার সাধারণ যাত্রীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা চরম বিপাকে রয়েছেন।ঢাকার গাবতলী বাস টার্মিনালে আবুল কাশেম নামে এক যাত্রীর সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে গেলে তিনি বলেন, আমরা দেশের সাধারণ জনগণ দুমুখো সাপের মাথায় রয়েছি আমাদের কিছু করার নেই যে দিকেই যাব সেদিকেই ছোবল খেতে হবে। তাই সকল পরিস্থিতি মুখ বুজে সহ্য করাই আমাদের সাধারন জনগনের কাজ।