মোঃ সিরাজুল ইসলাম ধামরাই ঢাকা প্রতিনিধি” ঢাকার ধামরাইয়ে দক্ষিণ ফুর্ডনগর এলাকায় নদীর খেয়া পারাপারে ইউএনও এর হস্তক্ষেপে অবৈধ ইজারাদারের হাত থেকে উন্মুক্ত করা হয়েছে। গত শুক্রবার(২২জুলাই) দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফোর্ডনগর গ্রামের নদীর খেয়া পারাপার উন্মুক্ত করা হয়। সেই সাথে সেখানে কেউ যাতে নদীর খেয়া পারাপারের জন্য বেশি টাকা না নিতে পারে সেই জন্য বড় আকারে একটি সাইনবোর্ড লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি বলেন, একই ইউনিয়নের মধ্যে নদীর খেয়া পারাপারের জন্য সেখানকার ঘাট ইজারার সাথে কোন সম্পৃক্ত নয়। সেই জন্য দক্ষিণ ফোর্ডনগর থেকে উত্তর ফোর্ডনগর যাতায়াতকারী নৌ-যাত্রীদের কাছ থেকে ঘাট ইজারাদারেরা কোনরূপ অর্থ আদায় করতে পারবে না। বর্ষা মৌসুমে নদীর খেয়া পারাপারের কাজে নিয়োজিত মাঝিরা তাদের নৌকায় যাতায়াতকারী যাত্রীদের নিকট থেকে আসাযাওয়া ভাড়াবাবদ সর্বচ্চ ৫ টাকা আদায় করতে পারবে। এছাড়া শুস্ক মৌসুমে ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়নে সেখানে বাশেঁর সাকোঁ নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সেই সাকোঁ ব্যাবহারের জন্য কাউকে কোন অর্থ দিতে হবে না।
তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ফোর্ডনগর এলাকায় নদীর খেয়া পারাপারের জন্য ইজারাদার নাম করে ইজারাদাররা নৌ-যাত্রীদের কাছ থেকে প্রতি পারের জন্য ১০-২০ টাকা ছোট যানবাহন থেকে ৪০- ৫০ টাকা করে আদায় করেছে। সেটা সর্ম্পুণ অবৈধ ভাবে আদায় করেছে। যেহেতু একই ইউনিয়নে পারাপার, সেই জন্য এখানে কোন ইজারা চলবে না। এখানে উন্মুক্ত থাকবে যে মাঝি পার করবে সেই শুধু ৫টাকা নিতে পারবে। পরে কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে দক্ষিণ ফোর্ডনগর খেয়া পারাপারের জন্য দুটি নৌকার ব্যবস্থা করে দেওয়ার নির্দেশ দেন। উল্লেখ্য সাভার থানা ঘাট, সাভার বাজার ঘাট, রূপনগর ঘাট ইজারা নিয়ে নৌ-যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে ইজারাদার মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন। সেই সাথে দক্ষিণফোর্ড নগর এলাকায় নদীর খেয়া পারাপারের জন্য অবৈধ ভাবে নৌ-যাত্রীদের কাছ থেকে ১০-২০ টাকা করে আদায় করে আসছে। সেখানে বলা হয়েছে ফোর্ডনগর থেকে সাভার থানা ঘাট এবং রূপনগর থেকে সাভার ঘাট ও সাভার বাজার ঘাট থেকে তারা নৌ-যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা নিবে। কিন্তু তারা অবৈধ ভাবে ফের্ডনগর-দক্ষিণ থেকে ফোর্ডনগর উত্তর খেয়া পারের জন্য বেশি টাকা আদায় করছে যা সর্ম্পুণ অবৈধ। সেই জন্য আজ সকালে ফোর্ডনগর থেকে ফোর্ডনগরে পারাপারের জন্য খেয়াঘাট উনমুক্ত করে দিলেন ধামরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন,কুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ লুৎফর রহমান, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজ সেবক মোঃ সাইফুল ইসলামসহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন