সমির মল্লিক :
খাগড়াছড়ির দিঘীনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের ছোট হাজাছড়া গ্রামের মো.আলী আকবর ভুয়া জন্মনিবন্ধন সনদ নিয়ে সপ্তম শ্রেনীতে পড়–য়া মেয়ের বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে বিবাহ প্রদানের চেষ্টা করে। খবর পেয়ে দিঘীনালা সহকারী ভূমি কমিশনাররের নেতৃত্বে পুলিশ তাৎক্ষনিক অভিযান চালিয়ে বিবাহ বন্ধ করে দেয় এবং এসময় ঘটনাস্থ থেকে মেয়ের পিতা মো.আলী আকবরকে গ্রেপ্তার করা হয় ।
রবিবার (৩০ জুলাই) সকালে খাগড়াছড়ির দিঘীনালার কবাখালী ইউনিয়নের মুসলিম পাড়ায় মামা মো.বিল্লাহ হোসেনের বাড়িতে মেয়েকে বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগে পিতা মো.আলী আকবরকে গ্রেপÍার করে সহকারী ভূমি কমিশনার মো. মাহফুজুর রহমানের ভ্রাম্যমান আদালত ।
এসময় জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাই করে দেখা যায় মেয়ে জন্ম ২০০৪ সালের ফেব্রæয়ারিতে। পুলিশের এসআই ফয়জুল করিম বলেন, মেয়ের বাবা জাল জন্মনিবন্ধন সনদ দেখিয়ে বয়স বাড়ানোর চেষ্টা করে । জাল জন্মনিবন্ধনে মেয়ের বয়স ৫ বছর বাড়িয়ে ১৯৯৯ সাল দেখানো হয়েছে।
জন্ম নিবন্ধন সনদ জাল করে বাল্য বিবাহ দেয়ার অভিযোগে এসময় মেয়ের পিতা মো . আলী আকরবকে গ্রেপ্তার করা হয়। মেয়ের পিতা মো .আলী আকবর অভিযোগ স্বীকার করে বলেন ‘ স্থানীয় বখাটে মো.বিল্লাহ হোসেন আমার মেে কে প্্রায় প্্রতিদিনই ঊৎত্যক্ত করত, মেরুং ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকেও নালিশ করলেও তিনি কোন প্রতিকার করেনি , মেয়ের স্কুল য্ওায়া বন্ধ করে দিই ,বখাটে মো.বিল্লাহ হোসেনের ভয়ে মামা বাড়ি এনে মেয়ের বিবাহ দিতে বাধ্য হই ’। ছোট মেরু ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. রহমান কবির রতন জাল জন্মনিবন্ধন সনদের অভিযোগ ¯¦ীকার করে প্রশাসনের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে বলেন , শীঘ্রই বখাটে বিল্লাহ হোসেনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিব এবং মেয়েটির যাতে নিরাপদে বিদ্যালয়ে যেতে পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করব।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএন্ও) শেখ মো. শহীদুল ইসলাম জানান ,“১৩ বছরের কিশোরীকে বাল্য বিবাহ দেয়ার সংবাদ শুনে মেয়ের মামা বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিবাহ বন্ধ করে দিই এবং এসময় মেয়ের পিতা আটক করা হয় , মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হ্ওয়া পর্যন্ত বিবাহ না দেয়া এবং মেয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়া মর্মে মুচলেকা নিয়ে পিতাকে ছেড়ে দ্ওেয়া হয়। বখাটে বিল্লাহকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করার জন্য পুলিশকে অভিযান চালানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে ।